অপরাধ ও বিচার

কাজী হাবিব হত্যা মামলার রায়: অভিযুক্ত সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী খালাস

২০১৬ সালে ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কাজী হাবিবুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায়ে প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
প্রতীকী ছবি

২০১৬ সালে ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কাজী হাবিবুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা মামলার রায়ে প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতাসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমিনুননেছা এই মামলার রায়ে অভিযুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সবাইকে খালাস দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নূরে আলম সিরাজী।

তিনি বলেন, '২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন। এ সময় অভিযুক্তদের মধ্যে ৮ জন আদালতে হাজির ছিলেন। তবে রায় ঘোষণার সময় বাদীপক্ষ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।'

খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত হোসাইন মোহাম্মদ সাগর সম্প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে পদ পেয়েছেন। বাকিরাও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

তারা হলেন আউয়াল আহমদ, আশিক উদ্দিন ওরফে আশিক সিকদার, মইনুল ইসলাম, জুবায়ের আহমদ, নাহিদ হাসান, ইলিয়াস আহমদ, নয়ন রায়, বশির উদ্দিন আহমদ ওরফে তুহিন, শহিদুর রহমান ও আলাউর খান।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মিছিলে যাওয়ায় ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি কুপিয়ে হত্যা করা হয় কাজী হাবিবুর রহমানকে। হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

হত্যার পরদিন হাবিবের ভাই কাজী জাকির কোতোয়ালী থানা ১১জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। অভিযুক্তদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়।

মামলার তদন্তে পরপর ৩ জন তদন্ত কর্মকর্তা কাজ করেন এবং সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা অখিল চন্দ্র দাশ ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মামলার ২১ জন সাক্ষী মধ্যে ১০ জন সাক্ষ্যপ্রদান করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hilsa remains a luxury

Traders blame low supply for high price; not enough catch in rivers even after 2-month ban

36m ago