চেক জালিয়াতি: যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় অপর অভিযুক্তরা হলেন শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, যশোরের রাজারহাটের ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং'র মালিক শেখ শরিফুল ইসলাম ও যশোর নতুন উপশহর এলাকার জামরুলতলার শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।
জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ সোমবার বিকেলে পাওয়ার পর রাতে মামলা হয়েছে।'
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশ, প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও হিসাবপত্র সমূহে মিথ্যা বর্ণনার মাধ্যমে সরকারি ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা আত্মসাৎ করে দ-বিধির ১০৯/৪০৯/৪২০/৪৭৭ (ক)সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা গত ১০ অক্টোবর দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালকের কাছে জালিয়াতি মামলা করার অনুরোধ জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে ওই দিনই দুদকের একটি দল শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত কাজ শুরু করে।
পরে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে মামলা দায়েরের অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন মামলার বিষয়ে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় আমাকে বিবাদী করা যায় না। বোর্ড কর্তৃপক্ষই জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস করেছে। প্রকৃত অপরাধী আব্দুস সালাম দোষ স্বীকার করে ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা ফেরত দিতে সময় চেয়েছেন।'
'এমতাবস্থায় কীভাবে চেয়ারম্যানকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। দোষ স্বীকারকারীকে প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে,' যোগ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থবছরের মালামাল ক্রয় বাবদ ভ্যাটের জন্য ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা ৯টি চেকের ১০ হাজার ৩৬ টাকার পরিবর্তে জালিয়াতি করে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর বোর্ডের অডিট শাখায় ঘটনাটি ধরা পড়ে।
Comments