ব্রাহ্মণবাড়িয়া আ. লীগ সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে আবারও আগুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাড়িতে আবারও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেছেন মামুন সরকার। তবে বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাড়িতে গত ৩১ জুলাই আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: মাসুক হৃদয়/ স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাড়িতে আবারও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেছেন মামুন সরকার। তবে বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে দুই দফা এই বাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে কেউ বাড়িতে আগুন দিয়েছে। গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা দুই দফা এই বাড়িটিতে আগুন দেয় এবং একইসঙ্গে ভাঙচুর চালিয়ে সবকিছু গুঁড়িয়ে দেয়। ওইদিন পার্শ্ববর্তী বাগানবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে ঘর ও গাড়ি পোড়ানো হয়। এছাড়া তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আজকের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আল মামুন সরকার জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের অগ্নিসংযোগের পর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকছেন। ফলে ক্ষতির শিকার বাড়িটিতে কেবল একজন নিরাপত্তাকর্মী থাকতেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় নিরাপত্তারকর্মী বাসার বাইরে ছিলেন। ফিরে এসে তিনি ধোঁয়া দেখে তাকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

মামুন সরকার জানান, হেফাজত তাণ্ডবের এক মাস পর তার বাড়িটির সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। বাসার জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কেনা হয়েছিল। আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, 'কোনো সন্দেহ নেই আমাকে যারা অপছন্দ করেন বা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন-- তাদের দ্বারাই এটা হয়ে থাকতে পারে।'

ফায়ার সার্ভিসের লিডার জহিরুল ইসলাম জানান, তাদের দুটি ইউনিট আধা ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ আগে থেকেই বিচ্ছিন্ন থাকায় আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাড়ির বাইরে থেকে কেউ আগুন দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

10h ago