বাংলাদেশ

এনআইডি: ছেলের চেয়ে ৬ বছরের ছোট জামাত আলী, পাচ্ছেন না ভাতা

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) বয়সের তথ্য বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাত আলী ও তার ছেলে মনিরুল ইসলাম। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, জামাত আলীর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর আর তার ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের বয়স ৫০ বছর।
jamat_ali_22oct21.jpg
মো. জামাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) বয়সের তথ্য বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাত আলী ও তার ছেলে মনিরুল ইসলাম। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, জামাত আলীর বর্তমান বয়স ৪৪ বছর আর তার ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের বয়স ৫০ বছর।

বিষয়টি শুধু হাস্যরসের জন্মই দিয়েছে তা নয়। এই ঘটনাটি সামনে আসার পরে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে কোনো কাজ করতে পারছেন না তারা।

জামাত আলীর প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫১ সালের ৪ আগস্ট। সে হিসাবে তার বয়স ৭০ বছর। এনআইডি কার্ডে তার বয়স ২৬ বছর কমে গেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জামাত আলীর জন্ম ১৯৭৭ সালের ৪ আগস্ট। অন্যদিকে তার ছেলে মনিরুল ইসলামের জন্ম ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর।

jamat_ali1_22oct21.jpg
ছবি: সংগৃহীত

জামাত আলী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যখন তথ্য সংগ্রহ করা হয় তখন তিনি সঠিক তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। যখন কার্ড হাতে পান, তখনো পড়ে দেখেননি সব তথ্য সঠিকভাবে এসেছে কি না।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোট দিবার যায়া কোনো সমুস্যা দেহি নাই, বয়স্ক ভাতা করতি যায়া ঠেলায় পড়নু।'

জামাত আলী আরও জানান, সম্প্রতি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার পরে বয়স নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের বিষয়টি ধরা পড়ে।

জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, বয়স্ক ভাতার কার্ড আটকে যাওয়ায় জামাত আলী আমার কাছে এসেছিলেন। যেহেতু আইনি ব্যাপার, তাই তার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ছেলে মনিরুলকে সঙ্গে নিয়ে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য জীবননগর নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলেন জামাত আলী। সেখান থেকে তথ্য সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এখনো আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন জামাত আলী।

জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, জামাত আলী ও তার ছেলে মনিরুল ২০০৯ সালের আগে ভোটার হয়েছেন। ওই সময়ে এনআইডিতে এ ধরনের সমস্যা ছিল। আবেদন পেলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

The invisible ones

Of the over 7 crore people employed in Bangladesh, 85 percent (nearly 6 crore) are vulnerable as they work in the informal sector, which lacks basic social and legal protection, and employment benefits.

10h ago