বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী রাশিয়া

সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে আজ বুধবার সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে আম কেনার ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছে রাশিয়া। আজ বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মন্টিটস্কি সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে ম্যান্টিটস্কি জানান, বাংলাদেশের আম খুবই সুস্বাদু ও উন্নতমানের। রাশিয়ায় আম রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়া আম কিনতে আগ্রহী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম আম উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এই মৌসুমে দুই লাখ হেক্টর জমিতে ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমে ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে ২৪ লাখ ৬৮ হাজার টন আম উৎপাদন করা হয়েছিল। রপ্তানিকারকরা ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৯১ টন আম বিদেশে পাঠিয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী জানান, রাশিয়ার কাছ থেকে ডায়ামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও পটাসিয়াম সার আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। দেশের কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে, কারণ বর্তমান সরকার এর দাম কেজি প্রতি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৮ টাকা করেছে। আমরা রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাসিয়াম আমদানির ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে চাই।'
বাংলাদেশ ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়া থেকে এমওপি সার আমদানি করছে এবং এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। 
এ ছাড়া কৃষিমন্ত্রী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় আলু আমদানির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার আলু ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে এখন অনেক উন্নতমানের আলু উৎপাদিত হচ্ছে। রাশিয়া আবার আলু আমদানি শুরু করতে পারে।'
আলুতে বাদামী পচা রোগের কারণে রাশিয়া ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলু আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

28m ago