কৃষি

মুন্সিগঞ্জে বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর আলুখেত

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে মুন্সিগঞ্জে রোপণ করা আলুবীজ নষ্টের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে এর মধ্যে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বীজ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমি বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।
পানিতে ডুবে গেছে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার টরকী গ্রামের একটি আলুখেত। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে মুন্সিগঞ্জে রোপণ করা আলুবীজ নষ্টের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে এর মধ্যে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু বীজ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমি বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।

আজ সোমবার জেলার ৬ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর, সিরাজদিখান উপজেলার ৪ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমি, শ্রীনগর উপজেলায় ৬২০ হেক্টর, লৌহজং উপজেলার প্রায় ১০০ হেক্টর জমি, গজারিয়া উপজেলায় ৮২৫ হেক্টর, টংগিবাড়ী উপজেলায় ৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর আলু রোপণ করা জমি বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে।

সূত্র জানায়, জেলায় এ বছর ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আলু রোপণ শুরু হয়েছে। আরও ২ সপ্তাহ বীজ রোপণ করা হবে।

কিন্তু বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অনেক জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ নেই। সোমবার ভোর থেকে কৃষকদের বৃষ্টিতে ভিজে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করতে দেখা গেছে।

সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের কৃষক মো. কামরুল হাসান রাসেলের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মণ আলু উৎপাদনের পরিকল্পনা ছিল।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ৭ দিন আগে প্রায় ১৫ একর জমিতে তিনি আলুবীজ রোপণ করেন। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পুরো জমি এখন পানির নিচে।

তিনি বলেন, 'ধারণা ছিল না যে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হবে। সব আলুবীজ নষ্টের পথে। আশেপাশে অন্যান্য কৃষি জমি থাকায় পানি বের করারও সুযোগ নেই।'

যাদের জমি খাল ও পুকুরের পাশে, তারা পানি নিষ্কাশন করতে পারছে বলে জানান তিনি।

সিরাজদিখান উপজেলার গোবরদি গ্রামের কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, 'প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে এবার আলু রোপণ করেছি। অনেক জমিতে বৃষ্টির পানি জমে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।'

যোগাযোগ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলার উপপরিচালক মো. খুরশীদ আলম জানান, জেলায় গত ৩ দিনে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলুবীজ রোপণ করা হয়েছে। এসব বীজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যে সব আলুবীজ গাছ হয়ে গেছে সেগুলোতে ক্ষতির মাত্রা কম হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'জমি থেকে জমা পানি বের করার সুযোগ থাকলে দ্রুত বের করে দিতে হবে। জমিতে যেন জলাবদ্ধতা না থাকে।'

যে সব জমিতে আলু বীজ গাছ হয়ে গেছে সেখানে পচন রোধে ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Lightning strikes claim 7 lives in 4 districts

At least seven people died and nine others were injured in lightning strikes in Rangamati, Sylhet, Khagrachhari, and Cox’s Bazar districts today

1h ago