ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পূর্তি উদযাপন

অর্ধ যুগ আগে জীবনের ৬৮ বছরের গ্লানি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী। তাই ছিটমহল বিনিময়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন সাবেক ছিটমহলবাসীরা।
গতকাল শনিবার মধ্যরাত তাদের কাছে মুক্তি লাভের দিন। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে তাদের জীবনের এই মুক্তি ও বিজয়।
দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ৩১ জুলাই মধ্যরাতে নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে ছিটমহল বিনিময়ের ছয় বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সাবেক ছিটমহলবাসীরা।
বাংলাদেশে থাকা ভারতের সাবেক ১১১টি ছিটমহলের মধ্যে আয়তনে ও জনসংখ্যায় সবচেয়ে বড় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়া। ঐতিহাসিক দিনটি ঘিরে সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় ছিল নানা আয়োজন।
আলোচনা সভা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়েছেন সাবেক ছিটমহল আন্দোলনের নেতারা।
তৎকালীন ছিটমহল বিনিময় আন্দোলন কমিটির আয়োজনে সমন্বয় পাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালিয়ে ও কেক কেটে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
এরপর আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের অন্যতম নেতা মইনুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, আলতাফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সমন্বয় পাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর ইসলাম, ফজিলাতুন্নেছা সরকারি দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামসহ অনেকে।
এর আগে ওই মঞ্চে রাত সাড়ে ১০ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন দাসিয়ারছড়াবাসী। এ ছাড়াও, আরও দুটি স্থানে কর্মসূচি নেন স্থানীয়রা।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বাংলাদেশের ভেতরে ১১১টি ছিটমহল ও ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল দুই দেশের মূল ভূখণ্ডে যুক্ত হয়। সেখানকার বাসিন্দারা নিজেদের পছন্দ মতো বাংলাদেশ বা ভারতের নাগরিক হওয়ার সুযোগ পান।
Comments