তীব্র স্রোতের কারণে তৃতীয় দিনের মতো শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি বন্ধ

ফেরি বন্ধ থাকায় স্পিডবোটে চলাচলা করছেন অনেকেই। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।

পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও পদ্মা সেতুর পিলারের নিরাপত্তার জন্য তৃতীয় দিনের মতো মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে বন্ধ আছে ফেরি চলাচল।

তীব্র স্রোতের মধ্যে ফেরি চালানো হলে পিলারের গায়ে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা আছে। তবে শিমুলিয়া ও শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে চলছে ৮টি ফেরি। 

শনিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শিমুলিয়া ও মাঝিকান্দি ঘাটে ২ শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের এজিএম (মেরিন) আহম্মদ আলী জানান, গেল দুইদিন স্রোতের গতিবেগ ছিল ৪ নটিকেল মাইল। যা ফেরি চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। পদ্মা সেতুর পিলারের নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি। স্রোত স্বাভাবিক অবস্থানে আসলে ফেরি চলাচল শুরু হবে। গত ২৬ মার্চ তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মাসেতুর পিলারের কাছে থাকা বয়া ভেসে গিয়েছিল। যা আজ স্থাপন করা হয়েছে। যা অন্যান্য নৌযান চলাচলের জন্য সহায়তা করবে।

বিআইডব্লিউটিসি'র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, গত ২৮ মার্চ সকালে তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মাসেতুর পিলারের কাছে থাকা বয়া দূরে সরে গিয়েছিল। যা আজ সকালে স্থাপন করা হয়েছে। আশাকরি আগামীকাল রোববার এ নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হবে। শিমুলিয়াঘাটে বর্তমানে ১০০ যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।

বিআইডব্লিউটিসির শরিয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দিঘাট ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান, শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে বর্তমানে ৮টি ফেরি চলাচল করছে। বাংলাবাজার ঘাটে পারের অপেক্ষায় গাড়ি নেই। মাঝিকান্দি ঘাটে ১০০ গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। স্বাভাবিক ভাবেই যানবাহন ফেরির মাধ্যমে পদ্মা পার হচ্ছে।

শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, আজ দুপুর ১২টায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে হাজরা চ্যানেলে একটি লাল লাইটেড বয়া স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া আসার পথে ফেরিগুলো নিরাপদে পদ্মা সেতু অতিক্রম করতে পারবে। এর আগে গত ২৬ মে বয়াটি প্রবল স্রোতে ভেসে যায়। অত্যধিক ময়লা ও জাল আটকানোর কারণে চেইন ছিঁড়ে ভেসে গিয়েছিল। বয়াটি পুণঃস্থাপনের কারণে ফেরি চলাচলে আর অসুবিধা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

1h ago