‘আকাশে ওড়ার স্বপ্ন আর কখনোই পূরণ হবে না সাদরাজের’

মেধাবী সাদরাজের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে। কিন্তু, তার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে সাদরাজের স্বপ্ন। আকাশে ওড়ার স্বপ্ন আর কখনোই পূরণ হবে না সাদরাজের।
সাদরাজ উদ্দিন শাহিন। ছবি: সংগৃহীত

মেধাবী সাদরাজের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে। কিন্তু, তার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেছে সাদরাজের স্বপ্ন। আকাশে ওড়ার স্বপ্ন আর কখনোই পূরণ হবে না সাদরাজের।

কথাগুলো বলছিলেন সাদরাজ উদ্দিন শাহিনের মামা মো. ইউসুফ সিদ্দিকী আজম।

ফটিকছড়ির নানুপুরের ছেলে সাদরাজ পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

আজ শনিবার সকালে নগরীর হামজারবাগের বাসা থেকে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজে যাওয়ার সময় ট্রেন-বাস-অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত হন সাদরাজ।

মেধাবী তরুণের এমন মৃত্যুকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মামা মো. ইউসুফ সিদ্দিকী আজম।

অনেকটা আক্ষেপের সুরে মো. ইউসুফ সিদ্দিকী আজম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওর করুণ মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। ওর অনেক স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পাইলট হবে। কিন্তু, সেই স্বপ্ন মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল। ওর আকাশে ওড়ার স্বপ্ন আর কখনো পূরণ হবে না।'

নিহত সাদরাজের বন্ধু জাকির আহমেদ বলেন, '২ ভাইয়ের মধ্যে সাদরাজ ছিল বড়। সকালে নগরীর হামজারবাগ থেকে কলেজে যাচ্ছিল। কিন্তু, পথে ট্রেন- বাস-অটো রিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে সাদরাজের মৃত্যু হয়।'

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলেই সাদরাজ মারা যান।

প্রফেসর আন্ডার অফিসার বিএনসিসি বিমান শাখা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারহানা রুমঝুম ভুঁইয়া বলেন, 'সাদরাজ ৫৭ বিএনসিসি স্কোয়াড্রন অধীন পাহাড়তলি কলেজের বিএনসিসি বিমান শাখার ক্যাডেট আন্ডার অফিসার ছিলেন।'

তিনি আরও বলেন, 'পাইলট হওয়ার যে স্বপ্ন সাদরাজ দেখেছিলেন, তা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Horrors inside the Gaza genocide: Through a survivor’s eyes

This is an eye-witness account, the story of a Palestinian in Gaza, a human being, a 24-year-old medical student, his real human life of love and loss, and a human testimony of war crimes perpetrated by the Israeli government and the military in the deadliest campaign of bombings and mass killings in recent history.

22h ago