বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগিতা: লালমনিরহাটে মন্ত্রীর ভাইসহ আ. লীগের ৭ নেতা বহিষ্কার

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে ৮ ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগিতা করায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুজ্জামান আহমেদসহ ৭ নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

আজ বুধবার বিকেলে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃতদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুজ্জামান আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই।

অপর বহিষ্কৃতরা হলেন-জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী প্রামাণিক, চলবলার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খবির উদ্দিন, গোড়ল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক ও কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরাজুল ইসলাম।

অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজেদা বেগম তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় ৪ দিন আগে তাকেও দলে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুজ্জামান আহমেদ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তার স্ত্রী সাজেদা বেগমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।'

এ বিষয়ে মাহাবুজ্জামান আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাকে অগণতান্ত্রিকভাবে কেবল ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।'