রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার আশ্বাস ব্রিটিশ এমপিদের প্রতিনিধিদলের

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া ও চলাফেরার স্বাধীনতার মতো ন্যায্য দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এসব দাবিতে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ছবি: ইউএনবি

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সে দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া ও চলাফেরার স্বাধীনতার মতো ন্যায্য দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এসব দাবিতে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল।

আজ রোববার কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তারা এ আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলটি ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য থমাস প্যাট্রিক হান্ট ও পল ব্রিস্টো এবং জিব্রাল্টারের ব্যবসায়, পর্যটন, পরিবহন ও বন্দরমন্ত্রী বিজয় শামদাস দারিয়ানি।

পরিদর্শনের সময় থমাস প্যাট্রিক হান্ট ও পল ব্রিস্টো বলেন, 'ব্রিটিশ জনগণ, বিশেষ করে ব্রিটিশ মুসলিমরা রোহিঙ্গাদের অবস্থা বেশ ভালোভাবেই অনুভব করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশের মাধ্যমে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো।'

ব্রিস্টো জানান, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের জন্য যুক্তরাজ্য এ পর্যন্ত ৩২০ মিলিয়ন পাউন্ড মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

তিনি বলেন, 'প্রত্যাবাসনের আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জীবনমানের উন্নতির বিষয়ে কথা বলে যাবে।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য ব্রিটিশ সরকার ও সংসদ সদস্যদের চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

এ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের সিইও সামান্থা হেলেন কোহেন এবং জি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

10h ago