বাংলাদেশ

লবিস্ট না, পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছিল সরকার: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসলেই লবিস্ট নিয়োগ করেছে কি না, করে থাকলে এর পেছনে কোন দল কত টাকা খরচ করেছে, এই টাকা কোথা থেকে খরচ করা হয়েছে—এসব বিষয়ে সংসদে তথ্য তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসলেই লবিস্ট নিয়োগ করেছে কি না, করে থাকলে এর পেছনে কোন দল কত টাকা খরচ করেছে, এই টাকা কোথা থেকে খরচ করা হয়েছে—এসব বিষয়ে সংসদে তথ্য তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, সরকার লবিস্ট না, পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছিল।

গত ২৩ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন এসেছে সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেছিল কি না—এ বিষয়ে আমি বলতে চাই, আমরা লবিস্ট নিয়োগ করিনি। আমরা একটা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছিলাম। দুটির মধ্যে পার্থক্য হলো, একটি কংগ্রেস, সিনেট, ইউএস ডিপার্টমেন্টে গিয়ে লবি করে, তদবির করে। আমরা সে ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করিনি। আমরা যে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছিলাম এটা লবি ফার্ম কিন্তু তাদের দায়-দায়িত্ব ছিল অপপ্রচার যেগুলো হয়, মিথ্যা তথ্য যেগুলো প্রকাশ হয়, সেগুলো পাবলিককে জানান দেওয়ার জন্য ফ্যাক্টগুলো-সত্যি কথাগুলো তারা বলবে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত, বিএনপির সদস্য যারা আছেন দেশের অমঙ্গল হোক, দেশ রসাতলে যাক তারাও সেটা চাইবেন না। তারা চাইবেন দেশের মঙ্গল হোক। এই যদি চান, তাহলে তাদের নেতারা কীভাবে এমন লিখতে পারেন! দেশের অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য আমেরিকান সরকারকে বারবার তারা তাগিদ দিয়েছেন।

মোমেন বলেন, আমার সহকর্মী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ বিজিআর নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৪-১৫ সালে নিয়োগ দেয় এবং তখন আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) বন্ধ করার জন্য যে লবিস্ট নিয়োগ হয়েছিল, তারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্য প্রচারণা করছিল তার কারণেই এই বিজিআর নিয়োগ হয়। যাতে তাদের বানোয়াট তথ্যগুলোর বিরুদ্ধে তারা লিখতে পারে।

সেই সময় আমাদের অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও দণ্ডাদেশ কার্যকর বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি-বিশেষ এবং বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা একটি গ্রুপকে নিয়োগ দিয়েছিলেন, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

7h ago