মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

বাণিজ্য-বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো নিয়ে মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ।
গত মঙ্গলবার মেক্সিকো সিটিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপমন্ত্রী মারিয়া ডে লা মোরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে দুই মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো উভয়পক্ষ কীভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
তারা দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনাগুলো খোঁজার পাশাপাশি একে অপরকে আরও বেশি করে জানার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শাহরিয়ার আলম মেক্সিকোর মন্ত্রীকে বাংলাদেশের উন্মুক্ত ও সুবিধাজনক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের পরিবেশের কথা তুলে ধরেন। তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম আইন, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে সম্পূর্ণ সম্মতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আরও সম্পৃক্ত হতে বাংলাদেশের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য লক্ষ্য ১০০ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হলে তা ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে সহায়ক হবে।'
মেক্সিকোর উপমন্ত্রী বলেন, 'বাণিজ্য হচ্ছে কাছাকাছি আসার উপায়। আমি বাংলাদেশের প্রশংসা করছি। কেননা, সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ মেক্সিকোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।'
মন্ত্রী মারিয়া মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বা ব্যবসায়ীদের যেকোনো সম্ভাব্য বাণিজ্য সংক্রান্ত সেমিনার বা প্রদর্শনীর জন্যে ভেন্যু প্রস্তাব করেন।
দুই মন্ত্রী মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পারস্পরিক স্বার্থে যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হন।
এর আগে মেক্সিকোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারমেন মরিনহো তুসকানোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন দেওয়ায় মেক্সিকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে তারা ২ দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। দেশ ২টির মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠানে জোর দেন শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রী মেক্সিকোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, '২০১৫ সালে ২ দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন চুক্তি সই হয়েছিল এবং এর অধীনে নিয়মিত বৈঠক করতে চায় ঢাকা।'
প্রতিমন্ত্রী কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের ভিসা ছাড়ের জন্য ২ দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির প্রাথমিক সমাপ্তির ওপরও জোর দেন এবং স্প্যানিশ ভাষা শেখাসহ উভয় দেশের কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমির মধ্যে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, মেক্সিকোর ২০০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শাহরিয়ার আলম সে দেশে রয়েছেন। তিনি ৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটি মেক্সিকোয় বাংলাদেশের কোনো মন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
Comments