গাদ্দাফির ছেলের আপিল শুনানির আগে আদালতে হামলা

লিবিয়ার প্রয়াত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীতা প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির আগে বন্দুকধারীরা আদালতে হামলা চালিয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফিকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে গিয়েছিলেন তিনি।
মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম আল-গাদ্দাফি। ছবি: রয়টার্স

লিবিয়ার প্রয়াত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীতা প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির আগে বন্দুকধারীরা আদালতে হামলা চালিয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফিকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে গিয়েছিলেন তিনি।

আজ শুক্রবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, লিবিয়া সরকার হামলাকারীদের 'একদল দুর্বৃত্ত' হিসেবে অভিহিত করেছে। ওই হামলার পর দেশটির দক্ষিণের শহর সেবহার আদালত বন্ধ রাখা হয়েছে।

সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফির একজন আইনজীবী বলেছেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার মক্কেলকে বৃহস্পতিবার আপিল করতে বাধা দিয়েছে। এর ফলে নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতার আশঙ্কা আরও বেড়েছে।

খালেদ আল-জাইদি একটি ভিডিওতে বলেছেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা ৩টি নিবন্ধন কেন্দ্রের একটি সেবহা আদালতে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার লিবিয়ার নির্বাচন কমিশন সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফির প্রার্থীতা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়। কারণ, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত।

আগামী ২৪ ডিসেম্বরের ভোটে কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকায় গাদ্দাফির ছেলের নাম ছিল। তবে, আবেদনকারীদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল কমিশন।

আল-জাইদি বলেন, আপিল শুনানির কয়েক ঘণ্টা আগে হামলাকারীরা আদালত ভবন থেকে সকল কর্মীকে 'বন্দুকের মুখে' জিম্মি করে সেখান থেকে জোর করে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেছেন, লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিচার মন্ত্রণালয় এই হামলার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago