আজ মৃত্যু ২, শনাক্তের হার বেড়ে ১৫.৬৬ শতাংশ

দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে শনাক্তের হার হয়েছে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে শনাক্তের হার হয়েছে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৬৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গতকাল শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ২৮০ জন।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গতকাল এক দিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৬৯ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন সেরে উঠেছেন।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল। গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছু দিন।

তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত ১২ জুন আবার ১০০ ছাড়িয়ে যায়। ১২ দিনের মাথায় শুক্রবার তা দেড় হাজারের ঘরও ছাড়ায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীর মধ্যে এক হাজার ৫১৩ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মোট ৩৪টি জেলায় করোনা রোগী পাওয়া গেছে।

মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার এখন ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

Comments