ক্যাপ্টেন সাজিদের অসঙ্গতি তদন্তে বিমানের কমিটি

এসব অভিযোগের গুরুত্ব এবং বিমানের কার্যক্রমের ওপর এসব অভিযোগের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অভিযোগগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য এবং কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তা চিহ্নিত করার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এই কমিটি করা হয়েছে।
র‍্যানসমওয়্যারের আক্রমণে বিমানের ই-মেইল সার্ভার ডাউন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের অসঙ্গতি ও অনিয়ম তদন্ত করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংস্থটি।

বিমানের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্বজনপ্রীতি, আর্থিক বৈষম্য এবং ক্রুদের প্রশিক্ষণে ইচ্ছাকৃত বিলম্বের মতো অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে এয়ারলাইনটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

এসব অভিযোগের গুরুত্ব এবং বিমানের কার্যক্রমের ওপর এসব অভিযোগের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অভিযোগগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য এবং কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তা চিহ্নিত করার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এই কমিটি করা হয়েছে।

বিমানের কারিগরি প্রধান ক্যাপ্টেন তানভীর খুরশিদকে আহ্বায়ক এবং উপ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আনোয়ারুল হককে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন বিমানের ডেপুটি চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন ইন্তেখাব হোসেন এবং রুট অ্যান্ড ফুয়েলের উপ-মহাব্যবস্থাপক লিয়াকত হোসেন।

৫ সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন।

ক্যাপ্টেন সাজিদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত স্বজনপ্রীতির অভিযোগও তদন্ত করবে এই কমিটি।

অভিযোগ তদন্তের পাশাপাশি সমস্যা চিহ্নিত ও তা থেকে উত্তরণের বিষয়েও সুপারিশ করবে এই কমিটি।

বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশনস) ক্যাপ্টেন সিদ্দিকুর রহমানের সই করা চিঠিতে এই তদন্ত কমিটিকে গণমাধ্যমে বিমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগের বৈধতা মূল্যায়ন এবং এর কোনো আর্থিক প্রভাব থাকলে তা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ মার্চ ক্যাপ্টেন সাজিদকে প্রশিক্ষণ প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিমান। বর্তমানে তিনি বোয়িং-৭৭৭ এর লাইন পাইলট হিসেবে কাজ করছেন।

তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্ত্রী সাদিয়া আহমেদসহ আরও কয়েকজনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নারী ককপিট ক্রুদের সঙ্গে বৈষম্যসহ একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমান কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ৬ মার্চ বিমানের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজের জন্য পাইলট নিয়োগে অনিয়ম এবং অযোগ্য পাইলটদের বেতন বাবদ অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিমান।

ওই কমিটি বোয়িং ৭৭৭ এর ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের এইচএসসি সনদের জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়েও তদন্ত করবে।

গত ১ মার্চ দ্য ডেইলি স্টারে 'অযোগ্য পাইলট নিয়োগের মাশুল দিচ্ছে বিমান' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিমান তাদের তদন্ত শুরু করে।

 

Comments