পরলোকে ওম পুরি
ভারতীয়, ব্রিটিশ, আমেরিকান ও পাকিস্তানি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তাই পূর্ব থেকে পশ্চিম গোলার্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত তাঁর পরিচিতি। ভারতে পেয়েছেন পদ্মশ্রী পদক আর ব্রিটেনে পেয়েছেন অর্ডার অব ব্রিটিশ ইম্পায়ার (অডিই) অ্যাওয়ার্ড। তিনি ওম প্রকাশ পুরি। ৬৬ বছর বয়সে পরলোকে পাড়ি জমান ৬ জানুয়ারি।
পুরির কথা মনে পড়লে ভক্তদের মনে ভেসে ওঠে একজন পুলিশ অফিসার, মাফিয়া ডন, একজন কৌশলী রাজনীতিক অথবা এক প্রতিবাদী পুরুষের ছবি।
বহুমুখী প্রতিভাবান পুরিকে দেখা যায় বিভিন্ন চরিত্রে। ১৯৭৬ সালে ‘ঘাশিরাম কোতোয়াল’ শিরোনামের মারাঠি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি জগতে অভিষেক হয় ওম পুরির। তারপর ৮০ সালে ‘আক্রোশ’ এনে দেয় খ্যাতি। ভারতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই ছবিতে ওম পুরি প্রকাশিত হোন একজন অবহেলিতের চরিত্রে।
ভারতে সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কারটি ওম পুরির ঝুলিতে আসে দু’বছর পর অর্থাৎ ১৯৮২ সালে। ‘অর্ধসত্য’-ছবিতে একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন তিনি।
এরপর একে একে আসে ‘জামানা’, ‘গুপ্ত’ ও ‘ধুপ’। অস্কারবিজয়ী ‘গান্ধি’ ছবিতেও অল্পসময়ের জন্যে দেখা যায় তাঁকে।
পুরির আন্তর্জাতিক পরিচিতি আসে ব্রিটিশ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। ব্রিটেনের ‘মাই সান দ্য ফ্যানাটিক’, ‘ইস্ট ইজ ইস্ট’, এবং ‘দ্য প্যারোল অফিসার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
১৯৯২ সালে ‘সিটি অব জয়’-এর মাধ্যমে ওম পুরির প্রবেশ ঘটে হলিউডে। এরপর অভিনয় করেন ‘ওল্ফ’, ‘দ্য গোস্ট অ্যান্ড দ্য ডার্কনেস’ এবং ‘চার্লি উইলসন’স ওয়ার’-এ।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালা জেলায় ১৯৫০ সালে এক পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ওম পুরি। পড়াশোনা করেন দিল্লি’র ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা ও পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে।
মুম্বাইয়ে নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওম পুরি।
Comments