ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

মোংলা বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’, পণ্য ওঠানামা বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জরুরি সভা। ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে মোংলা বন্দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা 'অ্যালার্ট-৩' জারির পর পণ্য ওঠানামা বন্ধ করা হয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেলকে নিরাপদে রাখার জন্য দেশি কার্গো ও লাইটারেজগুলোকে চ্যানেলের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া চ্যানেলে অবস্থানরত ১৩টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ ও সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বন্দর জেটিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো নিরাপদে আছে।'

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সকাল থেকে পণ্য ওঠানামার সব কাজ বন্ধ রয়েছে। বন্দর জেটিতে থাকা সব জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বহির্নোঙরে।'

ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড়–পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুসারে ৪ ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা করেছে। সভায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বন্দরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Comments