ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করছে

আজ দুপুর ২টায় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বশেষ অবস্থান। ছবি: উইন্ডিডটকম থেকে নেওয়া

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ আজ শুক্রবার দুপুরে মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে।

আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ আজ দুপুরে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে এবং আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন দুপুর ২টায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ দুপুর ১২টা থেকে মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বাড়ছে। এখন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে এটি এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শেষ করবে।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি 'অতটা শক্তিশালী নয়' উল্লেখ করে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় এই আবহাওয়াবিদ বলেছিলেন, আজ রাতে সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। আগামীকাল থেকে এই বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করবে। তখন শুধু উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকায় কাল দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরে আরও জানিয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার বাতাসতাড়িত জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে। এর প্রভাবে ঢাকা, ‍খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টির প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

Comments

The Daily Star  | English

Not satisfied at all, Fakhrul says after meeting Yunus

"The chief adviser said he wants to hold the election between December and June"

2h ago