খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে নিহত ১, নিখোঁজ ৩

ধসে যাওয়া কংক্রিট সরিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবনের নির্মাণাধীন ছাদ ধসে ১ শ্রমিক নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা পরিষদের ৪তলা নতুন ভবনের নিচতলায় পার্কিংশেডের ছাদ ঢালাইয়ের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ছাদের নিচে কয়েকজন আটকা পড়েন।

নিহত সাজ্জাদ খাগড়াছড়ি শহরের কলেজগেট এলাকার মো. আমিনের ছেলে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি শ্রমিকের কাজ করতেন।

ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, পার্কিংশেডের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ১৬ শ্রমিক কাজ করছিলেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিহত ১ শ্রমিকের মরদেহ সদর হাসপাতালে রয়েছে। উদ্ধার হওয়া বাকি সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।'

খাগড়াছড়ি সেনা সদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রিয়াদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে মিলে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। এখনো ৩ শ্রমিক নিখোঁজ আছেন।'

ছাদ ঢালাইয়ের সময় ১৬ শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সেল্টারিংয়ের সময় কোনো ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এজন্যই এই অবস্থা, তবে তদন্তে সঠিক কারণ উঠে আসতে পারে।'

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সাড়ে ৩টার দিকে খবর পেয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করি। একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। শ্রমিকরা বলেছেন আরও ২-৩ জন আটকে আছেন। আমাদের কাজ চলছে।'

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

ভুক্তভোগী শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাও এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

5h ago