নরসিংদীতে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে আহত আরও ২ জনের মৃত্যু
নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এ নিয়ে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকীবুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের চাকশাল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জনই সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির আরোহী ছিলেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া দুজন হলেন, গাজীপুরের টঙ্গীর নিতাই পালের স্ত্রী ঝর্ণা পাল (৩০) ও লিটন শীলের মেয়ে তনুশ্রী শীল (১২)।
অন্যদিকে ঘটনাস্থলে নিহত হন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে আমির হামজা (৩৭) ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের কামারচর এলাকার একাব্বর মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস রাজধানী ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এদিকে পলাশের ঘোড়াশাল থেকে এক শিশু ও তিন নারীসহ ৬ যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা পাঁচদোনার দিকে যাচ্ছিল। আঞ্চলিক সড়কটির চাকশাল এলাকায় পৌঁছানোর পর বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই আমির হামজা নামে একজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিএনজিচালক মজিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে মাধবদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত শিশু ও তিন নারীসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ৪ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হলে উত্তরার ওই বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঝর্ণা ও তনুশ্রীর মৃত্যু হয়।
জানতে চাইলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকীবুজ্জামান জানান, এই দুর্ঘটনায় এক শিশু ও এক নারীসহ চার জনের মৃত্যু হলো। উত্তরার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশু ও নারীর লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে মারা যাওয়া দুজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Comments