টিয়া পাখি বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু

এই দুর্ঘটনায় আরও দুই উদ্ধারকর্মী তড়িতাহত হয়েছেন।
তাশফিয়ান আতিফ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিদ্যুতের তারে আটকে পড়া টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট 'রবিনহুড দ্যা অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটি'র সদস্য তাশফিয়ান আতিফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আজ শুক্রবার মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আতিফকে (২২) দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে তিনি মারা যান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ ইনসাফ বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আতিফ (২২), রুপক (২০) ও শফিকুর রহমান (২৮)।

বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শফিকের শরীরে ৮ শতাংশ ও রুপকের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

রবিনহুড দ্য অ্যানিমেল রেসকিউ সোসাইটির প্রধান আফজাল খান জানান, তাদের অফিস খিলগাঁওয়ে। তারা বিপদে পড়া পশুপাখি উদ্ধারের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে খবর পান, হাসনাবাদ এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ঘুড়ির সুতায় একটি টিয়া পাখি আটকে আছে। এরপর তাদের ৫-৬ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় পাখিটি উদ্ধারে।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে একটি তিনতলা বাড়ির ছাদে ওঠেন উদ্ধারকারীরা। আতিফ তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পাখিটি উদ্ধার করতে যায়। তবে লাঠিটি বিদ্যুতের তারে লাগার সঙ্গে সঙ্গে আগুন জলে ওঠে। এতে তিনজন বিদ্যুতায়িত হন। দ্রুত তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

আতিফের বাবা মো. নাজমুল হোসেন জানান, তাদের বাসা লালবাগে। ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আতিফ। পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজে যুক্ত ছিলেন আতিফ।

Comments