নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় একটি ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের অন্তত ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কাঁচপুর বিসিক শিল্পাঞ্চলের ৩ নম্বর গলির তিনতলা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কাঁচপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'ঘরের ভেতর থাকা সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে জমা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে।'
সকালে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক তদন্তের পর ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, 'ঘরটির ভেতরেই রান্নার চুলা। একটি গ্যাস সিলিন্ডার সেখানে পাওয়া গেছে। চুলার সঙ্গে গ্যাসের অন্য কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি।'
'নিচতলায় ঘর হওয়াতে চুরির ভয়ে হয়তো রাতে দরজা-জানালা বন্ধ ছিল এবং সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে চেম্বারের মতো হয়ে যায় এবং ভোরে আগুনের কোনো উৎস পেয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে,' যোগ করেন তিনি।
এ দুর্ঘটনায় দগ্ধরা হলেন—মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), তাদের তিন কন্যা তিন্নি (১২), মুন্নি (১৪) ও মৌরি (৬)।
তাদের মধ্যে মানবের শরীরের ৭০ শতাংশ, তার স্ত্রীর ৪৫ শতাংশ, কন্যা তিন্নির ২২ শতাংশ, মুন্নির ২৮ শতাংশ এবং মৌরির ৩৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তাদের প্রতিবেশী সবিনয় দাস বলেন, 'মানব একটি ওষুধ কোম্পানিতে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি করে। পরিবার নিয়ে বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকে। একটাই ঘর, সেটার ভেতরেই রান্নাঘর ও বাথরুম। ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে তারা সবাই পুড়ে যায়। আমি তাড়াতাড়ি গাড়ির ব্যবস্থা কইরা হাসপাতালে আনি।'
'তাগো কারও অবস্থাই ভালো না। ডাক্তার রক্ত জোগাড় করতে বলছে। আমি রক্তের লাইগা দৌঁড়াইতাছি', যোগ করেন সবিনয়।
গত ২৩ আগস্ট এর কয়েক কিলোমিটার দূরে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকার একটি টিনসেডের ঘরে বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন।
Comments