আ. লীগ নেতার হামলায় সাংবাদিক হাসপাতালে, পুলিশ বলছে খতিয়ে দেখবে

প্রকাশ্যে সাংবাদিককে মারপিট করে আহতের ঘটনায় ২ দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। আহত সাংবাদিক হযরত আলী হাতীবান্ধা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আ. লীগ নেতার হামলায় সাংবাদিক হাসপাতালে, পুলিশ বলছে খতিয়ে দেখবে
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা নুরল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

প্রকাশ্যে সাংবাদিককে মারপিট করে আহতের ঘটনায় ২ দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। আহত সাংবাদিক হযরত আলী হাতীবান্ধা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হযরত আলী হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের পূর্ব সিন্দুর্ণা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরল আমিন। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আরও দুজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় নুরল আমিন ভোটারদের হুমকি দেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ইউনিয়নের চম্পাফুল গ্রামে ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন সাংবাদিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হন নুরল আমিন। তিনি তার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক হযরত আলীকে প্রকাশ্যে মারপিট করেন। তার মোবাইল ফোন ও প্রেস আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেন। পরে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে মোবাইল ফোনটি ফেরত দিলেও প্রেস আইডি কার্ড ফেরত দেননি। স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন শুক্রবার দুপুরে নুরল আমিনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ করেন হযরত আলী।

হযরত আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি হাতে, পায়ে, পিঠে, মাথায় ও চোখে আঘাত পেয়েছি। তারা আমাকে বাঁশ-কাঠের লাঠি দিয়ে স্থানীয় লোকজনের সামনে বেদম পিটিয়েছেন। আমার দোষ আমি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করেছি।'

তিনি বলেন, 'ঘটনার দুইদিন হলেও পুলিশ এখনো মামলাটি রেকর্ড করেনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো আইনি ব্যবস্থা।'

'পুলিশ এ ঘটনায় রহস্যজনক ভূমিকা রাখছে। গোপনে আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে,' তিনি অভিযোগ করেন।

তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরল আমিন ডেইলি স্টারের কাছে দাবি করেন, তিনি সাংবাদিক পেটানো বিষয়ে কিছুই জানেন না।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইলিয়াস বসুনিয়া পবন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ এখনো মামলা রেকর্ড করেনি। নেয়নি কোনো আইনি ব্যবস্থা। এতে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতার বিপক্ষে মামলা রেকর্ড না করায় পুলিশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। পুলিশ মামলা রেকর্ড করে আইনি ব্যবস্থা না নিলে আমরা সাংবাদিকরা আন্দোলনে যাবো।'

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। অবশ্যই মামলাটি রেকর্ড করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

An April way hotter than 30-year average

Over the last seven days, temperatures in the capital and other heatwave-affected places have been consistently four to five degrees Celsius higher than the corresponding seven days in the last 30 years, according to Met department data.

7h ago