মণিরামপুরে বিএনপির ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, ৩ ‘ককটেল উদ্ধার’
যশোরের মণিরামপুরে পৌর ও থানা বিএনপির যৌথ সভা শেষে দলটির ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং বাকি ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের দাবি, 'নাশকতার উদ্দেশ্যে' এই সভা করা হচ্ছিল এবং সভাস্থল থেকে ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ঘোষিত ইউনিয়ন পর্যায়ের পদযাত্রা সফল করতে মণিরামপুর পৌর ও থানা বিএনপি গতকাল রাতে এই যৌথ সভা করেছিল।
মণিরামপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, 'থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েই বাড়ির উঠানে যৌথ সভা করা হয়। অথচ সভা শেষে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই সেখান থেকে আমাদের ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।'
থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, 'বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা পালনের কর্মসূচি দেওয়া হয়। কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে গতকাল রাতে মণিরামপুরে পৌর ও থানা বিএনপির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয় থানা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের বাড়ির উঠানে।'
তিনি বলেন, 'সভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয় শহীদ ইকবালের বাড়ির চারপাশে। সভা শেষ করে আমরা বাড়িটি থেকে বের হলে পুলিশ বিএনপি নেতা আকতার হোসেন খান, আনছার আলী ও সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করা হয় মাস্টার নুরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, বিল্লাল হোসেন, মাহাবুবুর রহমান, আজিজুর রহমান, সোহরাব হোসেন ও রোস্তম আলীকে।'
তিনি জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে আকতার হোসেন খান, মাস্টার নুরুল ইসলাম ও আব্দুল কাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, 'নাশকতার জন্য বিএনপি নেতা শহীদ ইকবাল হোসেনের বাড়িতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৈঠক করছিলেন। সেখান থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।'
সভার জন্য পূর্বানুমতি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'আমি কি মৌখিকভাবে সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে পারি?'
এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে।
Comments