সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে (১১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর শিশুর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শিশুটি স্থানীয় মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার বাবা ওই এলাকায় দিনমজুরের কাজ করেন।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিশুটি সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। পরে রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশে নিতাই নদীতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।'

রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ওসি আরও বলেন, 'শিশুটিকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে এটি জানা গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে রেখে চলে যায়।'

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।