কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওএমএসের চাল কিনে রাখার অভিযোগ তদন্তে ২ কমিটি

নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারি চাল বিতরণ না করে নিজেই কিনে রাখার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে।
ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং নারায়ণগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এ ঘটনা তদন্তে পৃথক ২টি কমিটি গঠন করেছে।
২ কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছে। আগামী রোববারের মধ্যে তারা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযোগ আছে, কাগজে-কলমে গত ২১ মার্চ কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে ২ টন চাল বিক্রির উল্লেখ থাকলেও, তা বিক্রি না করে নিজে কিনে মজুত করেছেন কাউন্সিলর বাবু। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের পর দ্য ডেইলি স্টার গত ২৪ মার্চ অনলাইনে এবং ২৫ মার্চ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই সময় চাল বিতরণ না করে নিজেই কিনে রাখার বিষয়টি কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু অস্বীকার করলেও নির্ধারিত ডিলার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারের কাছে স্বীকার করেন।
আব্দুল করিম বাবু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর প্যানেল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য।
আঞ্চলিক (ঢাকা) খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে এই বিষয়ে তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা বিষয়টি তদন্তে কাজ করছেন। আশা করি, তারা রোববার নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
নারায়ণগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আসমা উল হোসনাও একই কথা জানান। তিনি বলেন, 'আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পাশাপাশি জেলা অফিসও ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকও বিষয়টি দেখছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।'
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিউজের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এসেছে। এরপর তদন্ত করা হয়েছে। ওই তদন্তে কাউন্সিলর ওইদিন চালগুলো কিনে রেখেছিলেন বলে সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু পরে চালগুলো তিনি জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। সেগুলো তিনি নির্ধারিত কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে বিতরণ না করে ওই এলাকার কোনো এক পুকুরের পাড়ে বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন।'
'পরে বিতরণ করলেও তিনি এইভাবে চাল কিনে নিতে পারেন না। এটা নিয়মের বাইরে। ভবিষ্যতে তিনি যেন এমন কাজ না করেন এই ব্যাপারে তাকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করা যায় কি না সেই ব্যাপারে আমরা দেখছি', যোগ করেন তিনি।
Comments