শাহজালালে জব্দ করা ৫৫ কেজি স্বর্ণের হদিস মিলছে না

প্রতীকী ছবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জব্দ করা প্রায় ৫৫ কেজি স্বর্ণের বার, অলঙ্কার এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে নিখোঁজ হয়েছে। ২০২০ সালে বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে এই স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছিল।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, এই ঘটনায় গুদামের দায়িত্বে থাকা চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও আরও চারজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

কাস্টমস সূত্রগুলো জানায়, অবৈধভাবে পাচার করে আনা স্বর্ণসহ সব ধরনের পণ্য কাস্টমসের দুটি গুদামে রাখা ছিল।

আইন অনুযায়ী মালিকানাবিহীন স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। চুরি যাওয়া স্বর্ণ ট্রানজিট গোডাউনে রাখা ছিল।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার এ কে এম নুরুল হক আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গুদামের পণ্য নিলাম করতে ৪৮ জন কর্মকর্তার চারটি দল গত ৩০ আগস্ট তালিকা করার কাজ শুরু করেন। কর্মকর্তারা ট্রানজিট গোডাউনে ১৪৫ কেজি স্বর্ণ পান, যেখানে ২০০ কেজি থাকার কথা ছিল।

তিনি আরও বলেন, গতকাল এই চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ট্রানজিট গোডাউনে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে স্বর্ণ রাখা হয়েছিল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরিমানা ও ট্যাক্স আদায়ের পর এই স্বর্ণ ছাড় করার কথা ছিল। এ কারণে এগুলো সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়নি। পাচারের ঘটনায় জব্দ করা স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শুল্ক গুদামে কাস্টমস কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা বিমানবন্দরের কাস্টমস গুদামটি অত্যন্ত সুরক্ষিত। এমন একটি নিরাপদ জায়গা থেকে স্বর্ণ নিখোঁজ হওয়া উদ্বেগজনক।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago