টিপু-প্রীতি হত্যা মামলা: আ. লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করতে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
টিপু ও প্রীতি। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নয় সদস্যসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হুসাইন অভিযোগ পড়ে শোনালে আদালতে উপস্থিত ২৬ জন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার দাবি করেন।

গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে যাওয়া বাকি সাত জন যাদের মধ্যে শীর্ষ তালিকাভুক্ত দুই সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ ওরফে মন্টু ও জাফর আহমেদ মানিক ওরফে ফ্রিডম মানিক তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

এর আগে ২৬ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

মামলার বিচার শুরুর জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরের ৫ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ইয়াসিন সিকদার।

গত বছরের ২৪ মার্চ মতিঝিল এজিবি কলোনি এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে মাইক্রোবাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু (৫৫)। শাহজাহানপুরে ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে থাকা অবস্থায় হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে এসে গাড়িতে থাকা টিপু ও তার সঙ্গীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

এতে মাইক্রোবাসের পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রীও গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, এর সদস্য মারুফ আহমেদ মনসুর যিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম এবং মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন চার্জশিটভুক্ত ৩৩ আসামির মধ্যে রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago