পাবনায় আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০

আহতরা সবাই নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থক।
সংঘর্ষের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ১২টার দিকে আটঘরিয়া বাজার সংলগ্ন ইসারত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন—উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের জিয়াউর রহমান (৪২), পৌর এলাকার বুলবুল ফকির (৪০), রনি (২৬), জাহিদ (৩০) ও ভোলা (২২)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত জিয়াউর রহমানকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আহতরা সবাই নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের সমর্থক এবং হামলাকারীরা পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থক।

তানভীর ইসলাম অভিযোগ করেন, 'রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে ইশারত উচ্চ বিদ্যালয় পাশে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থক জুয়েল, শাহা আলম ও প্রিন্স তাদের লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।'

তিনি বলেন, 'এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে আমার ১০ জন সমর্থককে আহত করে। পরে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।'

অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচনের পর থেকেই তানভীরের লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। আজ ভোররাতেও হামলা করতে গেলে প্রতিরোধের মুখে পরে এবং তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।'

এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, 'নির্বাচন পরবর্তীতে আটঘরিয়ার পরিস্থিতি শান্তই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এই সংঘর্ষ হলো।'

তিনি বলেন, 'এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।'

গত ২৯ মে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

Comments