ব্যবসায়ীর মরদেহ ৭ টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় পূর্বাচলে

নিহত ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন মাসুম। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে লেক থেকে গতকাল পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো টুকরো করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মরদেহটি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন মাসুমের বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, জসিমউদ্দিন গত ১০ নভেম্বর বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। গতকাল বুধবার দুপুরে পূর্বাচলের একটি লেক থেকে তিনটি পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় তার মরদেহ টুকরো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম সিহাব দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতরাতে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন তারা।

জসিমউদ্দিনের মালিকানায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ডাইং কারখানা আছে। ১০ নভেম্বর বাসা থেকে কারখানার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে বাসায় না ফেরায় ১১ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

সিহাব বলেন, 'বাবা গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। গুলশানে গাড়ি ছেড়ে দেন এবং অন্য আরেকটি গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ যাবেন বলে ড্রাইভারকে জানান। এরপর আর রাতে ফেরেননি। পরদিন সকাল ৭টার দিকে তার দুটো নম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। কোথাও খোঁজ না পেয়ে আমরা থানায় জিডি করি।'

কারও সঙ্গে জসিমউদ্দিনের ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল কি না, তা নিশ্চিত নন ছেলে সিহাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, 'এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ কিছু সূত্র পেয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, কুড়িল-কাঞ্চন সড়কের উত্তর পাশে পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেক থেকে টুকরো করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আজ দুপুরে ওসি লিয়াকত বলেন, 'অন্তত তিনদিন আগে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করছি। তার শরীরের দুটো অংশ এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা যথাসম্ভব খুঁজেও পাইনি।'

Comments

The Daily Star  | English

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

8h ago