সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে

নূরুল ইসলাম সুজন। ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট  রিকশাচালক আল আমিন (২১) হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।  

আজ রোববার সকালে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুজ্জামান এই আদেশ দেন।

আদালতের সরকারি আইনজীবী আদম সুফি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এই মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে সকাল ১০টায় সাবেক এই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত শনিবার রাতে নূরুল ইসলামকে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে আনা হয়।

সাবেক রেলমন্ত্রী ও পঞ্চগড়- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলামসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন শহরের দর্জিপাড়ার বাসিন্দা নিখোঁজ রিকশাচালক আল আমিনের বাবা মো. মনু।

পুলিশ, আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন আল আমিন। দুপুরে দুই তরুণের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে তাকে আটক করে মারধর করা হয়। তারপর তাকে সাদমান সাকিবের বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আল আমিনের সঙ্গে থাকা রায়হানুল ইসলাম রিফাত ও সুজন ইসলাম নামের দুই তরুণ আহত হন।

তবে তাদের দুজনকে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলেও আল আমিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকেই তাকে খুঁজছিল পরিবার।

খোঁজ না পেয়ে ১৪ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চগড় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

নিখোঁজের তিন মাস পর সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আসামি করে মামলা করেন আল আমিনের বাবা।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় নূরুল ইসলামকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

9h ago