নরসিংদীতে ‘ভুল চিকিৎসায়’ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, স্বজনদের বিক্ষোভ

নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।

রোববার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরের পায়রা চত্বরে পলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ বিক্ষোভ হয়। 

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত ঝর্ণা বেগম (৩৪) নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

ঝর্ণার দেবর মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঝর্ণা গলায় থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার বিকেল ৫টায় তাকে নরসিংদী পলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ইফতেফার ইসলাম দীপু অপারেশন করার কথা জানান। সন্ধ্যা ৭টায় দিকে ঝর্ণাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পরও রোগীকে অপারেশন রুম থেকে বের না করায় আমরা চাপ দেই। পরে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ রাত ১০টা ৪০ মিনিটে রোগীকে অপারেশন রুম বের করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়।'

স্বজনরা ঝর্ণাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়া ইউ এস বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করে ও পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

মামুন বলেন, 'রোববার সকাল ১০টার দিকে ঝর্ণাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান যে রোগী অনেক আগেই মারা গেছেন।'

ঢামেকে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নরসিংদীর ওই ক্লিনিকের সামনে মরদেহ নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্বজনরা। 

স্বজনদের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ঝর্ণার গলার থাইরয়েড অপারেশনের সময় চিকিৎসক ঘাড়ের রগ কেটে ফেলায় তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে পলি ক্লিনিকে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের পরিচালক আলতাফ হোসেনকে ফোন করা হলে, সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি কল কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।

এছাড়া অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. ইফতেফার ইসলামকে ফোন করা হলে তার নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসি ফিরোজ তালুকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর সাটিরপাড়ার পলি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রোগীর স্বজনরা জড়ো হয়। হাসপাতাল সামনে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা মরদেহ নিয়ে চলে যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কাছে কেউ এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments