ঈদের আগে বেতন-বোনাস না দিলে মালিকদের বাড়ি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে পতাকা র‍্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ। ছবি: স্টার

ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দিলে কারখানা মালিকদের বাড়ি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে পতাকা র‍্যালি ও শ্রমিক সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এখনো যেসব পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়নি, ঈদের আগেই বকেয়া বেতন ও এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে এই পতাকা র‍্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ হয়। 

পতাকা র‍্যালিটি হেমায়েতপুর এলাকায় অবস্থিত সংগঠনটির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মধ্য দিতে শেষ হয়।

সংগঠনটির সভাপতি ও শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজ রমজান মাসের ২৪তম দিন। অথচ এখন পর্যন্ত অনেক পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। ঈদের আগে সব পোশাক শ্রমিকের এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ ঈদ বোনাস এবং যাবতীয় বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

কোনো মালিক যদি ঈদের আগে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস কিংবা বেতন পরিশোধ না করে, প্রয়োজনে তাদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক নেতারা। তবে এসময় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কারখানার নাম উল্লেখ করেননি তারা।

সমাবেশে শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিন বলেন, 'ঈদে অন্য সবার মতো পোশাক খাতের শ্রমিকদেরও পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দের সঙ্গে ঈদ পালনের অধিকার রয়েছে। ঈদের আগে পরিপূর্ণ বেতন ও ঈদ বোনাস শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার। অনেক মালিক শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক বা নামমাত্র ঈদ বোনাস দেওয়ার ফন্দি করছেন।'

আবার অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করার পায়তারা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জেসমিন আক্তার ও নারী বিষয়ক সম্পাদক সুইটি সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

10h ago