ন্যায়বিচার পাচ্ছি না, এর ব্যাকগ্রাউন্ডে কী আছে সেটা দেশের মানুষ বোঝেন: ড. ইউনূস

আদালত চত্ত্বরে ড. ইউনূস। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার

'আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। এর ব্যাকগ্রাউন্ডে কী আছে, কীভাবে আছে, সেটা দেশের মানুষ সবাই বোঝেন—তারা বুঝে নেবেন' বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার গ্রামীণ টেলিকম ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার শুরুর তারিখ ধার্যের পর ঢাকার একটি আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, 'আজকে মনটা খারাপ, বেশি কথা বলব না। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইনজীবী বলবেন।'

মন খারাপের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'তারিখ নিয়ে যে রকম ধস্তাধস্তি করতে হলো, মনটা খারাপ হয়ে গেল। এই অবস্থাতে কিছু বলার উৎসাহ পাচ্ছি না।'

'তবে একটা ভালো লাগলো যে আজকে ওই খাঁচার ভেতরে আমাদেরকে ঢোকায়নি। খাঁচার বিষয়টি আমি বারবার বলতে থাকবে, কারণ এটা জাতির প্রতি মস্ত বড় অপমান। এই অপমান আমাদের সহ্য করা উচিত না। আমি বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন জানাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই খাঁচাগুলো সরিয়ে ফেলা হোক। এর ব্যবহার থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটা মানবতার প্রতি অপমান। মানুষকে পশুর মতো খাঁচায় ভরে রাখবে কেন? এটা কোনো বিচারের বিষয় না, কিছু না—নেহাতেই একটা অপমান করার বিষয়। এটা সারা জাতিকে অপমান করার বিষয়।'

ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, 'আদালতে উপস্থিত যে কারো মনে হবে যে তাড়াহুড়ো করে বিচার শেষ করার একটা প্রচেষ্টা আছে।'

কেন ড. ইউনূসের নামে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে এবং কেন তার মনে হচ্ছে যে বিচার দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এই বিষয়গুলোর (তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ) কোনো ভিত্তি নেই। এটা ভিত্তি ছাড়া একটা মামলা, সেটা তাড়াহুড়ো করে শেষ করে ফেলাটাই মনে হচ্ছে তাদের একটা বিষয়। এটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারবেন আমার আইনজীবী—তিনি আদালত বিষয়ে অভিজ্ঞ মানুষ।'

আপনি কি প্রতিহিংসা বা রাজনীতির শিকার?—সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'কিছু একটার শিকার হচ্ছি বটেই—এটা পরিষ্কার। এটা প্রতিহিংসা বলেন, হিংসা বলেন, বিদ্বেষ বলেন—সবকিছু মিলিয়ে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago