রাতে অফিস থেকে ফিরে নিশার সঙ্গে এখন কে খেলবে

সাংবাদিক হাসান মেহেদি। ছবি: সংগৃহীত

স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বেশ ছিমছামভাবেই চলছিল ফারজানা পপির সংসার। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সব তছনছ হয়ে যায়।

ওই দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষে নিহত হন পপির স্বামী সাংবাদিক হাসান মেহেদি।

মেহেদির মৃত্যুতে মুহূর্তেই তছনছ হয়ে যায় তাদের এতদিনের সাজানো সংসার। তাদের দুই মেয়ের মধ্যে নিশার বয়স তিন বছর ও মেহেরের ছয় মাস। বাবা তাদের ছেড়ে চিরতরে চলে গেছে, সেটা বোঝার মতো বয়সও এখনো হয়নি এই দুই শিশুর।

শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গের সামনে বড় মেয়ে নিশাকে নিয়ে পপিকে বসে থাকতে দেখা যায়। স্বামীর মরদেহ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে পপি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিবারের বিরুদ্ধে যেয়ে আমরা বিয়ে করি বছর পাঁচেক হলো। দুই মেয়েকে ঘিরে আমাদের সুখের পরিবার ছিল। কিন্তু এখন সব শেষ হয়ে গেল...'

'নিশা এখনো ভাবছে প্রতিদিন রাতের মতো আজও তার বাবা অফিস থেকে বাসায় ফিরে তার সঙ্গে খেলবে', বলেন তিনি।

মর্গের সামনে নিশা মায়ের কাছে বাবার খোঁজ নিচ্ছিল তখন।

'দুই মেয়েকে এখন কীভাবে সংসার চালাব, জানি না', বলেন পপি।

পপি জানান, অনলাইন পোর্টাল ঢাকা টাইমসের আগে দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক বাংলাদেশের আলোতে কাজ করেছেন মেহেদি।

ওইদিন মর্গের সামনে দেখা হয় বাংলাদেশের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ইমাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারের র‌্যাম্পের সামনে থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছিলেন মেহেদি। তখন আর্মড পুলিশ ক্যারিয়ারের (এপিসি) শটগানের গুলিতে বিদ্ধ হন তিনি।

ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে মেহেদিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Opening aid corridors, leasing out ports not this govt’s job

Making decisions on a “humanitarian corridor” to Rakhine and leasing out container terminal of Chittagong Port to foreign companies are not the interim government’s job, said BNP acting chairman Tarique Rahman last night.

3h ago