অক্টোবরের মাঝামাঝি চালু হতে পারে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন

মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন। ছবি: সংগৃহীত

মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন অক্টোবরের মাঝামাঝি পুনরায় চালু হতে পারে।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন ভাঙচুর করা হয়। ইতোমধ্যে কাজীপাড়া স্টেশন চালু হলেও, মিরপুর-১০ স্টেশন এখনো বন্ধ আছে।

ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা জানান, চলতি সপ্তাহে মিরপুর-১০ স্টেশনের প্রস্তুতির বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।

তারা জানান, স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জামগুলোর বেশিরভাগ বিকল্প হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহৃত দুই স্টেশন এবং মেট্রোরেল প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অক্টোবরের মাঝামাঝি মিরপুর-১০ স্টেশনটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্টেশনটি চালুর চেষ্টা করছি।'

তিনি বলেন, 'শিগগির স্টেশনটির প্রস্তুতির বিষয়ে পরীক্ষা করা হবে। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সবকিছু জানানোর পর তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।'

জুলাইয়ে মেট্রোরেলের দুই স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে, এক বছরের মধ্যেও স্টেশন দুটি চালু করা সম্ভব হবে না।

প্রায় মাসখানেক বন্ধ থাকার পর ২৫ আগস্ট মেট্রো চলাচল শুরু হয় এবং ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া স্টেশন চালু হয়।

ডিএমটিসিএলের এক কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের জন্য বিজয় সরণি ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন থেকে তারা কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ডিএমটিসিএলের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকেও কিছু যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।

ডিএমটিসিএলের দুই কর্মকর্তা বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিরপুর-১০ স্টেশন পুনরায় চালুর নির্দেশ দিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত সব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল এবং আবার বিদেশ থেকে এনে সেগুলো প্রতিস্থাপন দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।

সময় বাঁচাতে মেট্রো স্টেশনের অফিসের জানালার জন্য গ্লাস আমদানি না করে স্থানীয় গ্লাস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।


 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago