জেলেদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পদ্মায় নিখোঁজ ২ এএসআই

নিখোঁজ দুই পুলিশ সদস্যের খোঁজে অভিযান চলছে। ছবি: স্টার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলেদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নৌকা উল্টে নদীতে পড়া দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। এই ঘটনায় দুই ইউপি সদস্য ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে বেড় কালোয়া গ্রামের বেলতলায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ দুইজন হলেন—কুমারখালী থানার এএসআই ছদরুল ও মুকুল। আর আহত হয়েছেন এসআই নজরুল।

স্থানীয়রা জানান, কয়া ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন ছয় পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বেলতলা এলাকার মাছ ধরা নদীতে অভিযান চালান। সেই সময় কয়েকটি নৌকা থেকে মাছের ভাগও নেন তারা। পরে আরও ভেতরে গেলে জেলেরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। সেই সময় নৌকা উল্টে নদীতে পড়ে দুইজন পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হন।

তবে ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, এএসআই ছদরুলের নেতৃত্বে আমরা ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ধরার জন্য চরসাদিপুর রওনা দিই। যাওয়ার পথে স্থানীয় ইয়ারুলের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের নৌকা ডুবিয়ে দেয়। পরে আমরা ওদের নৌকায় উঠলে আমাদের প্রচুর মারধর করে। মারধর করার পর একটি নৌকা আমাকে এই পাড়ে পার করে দেয়। নৌকায় মাঝিসহ আমরা মোট ১০ জন ছিলাম। এরমধ্যে ছয়জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন ফিরে আসতে পারলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

নৌকার মাঝি হাসান বিশ্বাস বলেন, 'আমাকে রাত তিনটার দিকে ফোন দিয়ে পুলিশ ও মেম্বার বললেন নৌকা নিয়ে যেতে হবে। আমরা যাচ্ছিলাম। পথে ৫০-৬০ জন এসে আমাদের ডাকাত বলে মারধর শুরু করে। নিখোঁজ দুইজনকে বেশি মারধর করা হয়েছিল।'

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বিকেলে ডেইলি স্টারকে বলেন, ওই দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধারে এখনো অভিযান চলছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও আমাদের পুলিশ সদস্যরাও পৃথকভাবে অভিযান চালাচ্ছেন।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যরা সিভিল পোশাকে ছিলেন। তবে তাদের ব্যাগে পুলিশের ইউনিফর্ম ছিল। অনেক সময় আসামি ধরতে সিভিল পোশাকেও যাওয়ার প্রয়োজন হয়।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

5h ago