ক্যাম্পে পদপিষ্ট হয়ে রোহিঙ্গা নিহত, প্রধান উপদেষ্টার শোক

উখিয়া ক্যাম্পে গত ১৪ মার্চ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ছবি: ইউএনবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অংশগ্রহণে লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত চারজন।

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেলিপ্যাড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নেয়ামত উল্লাহ চার নম্বর ক্যাম্পের মৃত সবি মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন—ওই ক্যাম্পের আসাদ উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ ও বসির আহমেদের ছেলে কলিম উল্লাহ।

শারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আসমত উল্লাহকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরিফ হোছাইন জানান, ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নেয়ামতুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার শোক

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শোকবাণীতে উল্লেখ করা হয়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে এসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে সবাইকে নিরাপদে রাখতে কর্তৃপক্ষের অসামান্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এবং উপস্থিত সবাইকে গভীরভাবে শোকাহত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ক্যাম্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ৪৩ বছর বয়সী নেয়ামত উল্লাহসহ পাঁচজন আহত হলে দ্রুত তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নেয়ামতকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

আহত দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ক্যাম্পে ফিরে গেছেন। বাকি দুজনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তারা শঙ্কামুক্ত।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি ইফতারে অংশ নেওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ধন্যবাদ জানান।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

6h ago