আসাদের সেনাদের সাধারণ ক্ষমা, শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা

বিদ্রোহীদের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি। ছবি: এএফপি

ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল–আসাদ সরকারের আমলে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীতে কর্মরত সেনাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে বিদ্রোহীরা। তবে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এইচটিএসের সামরিক কমান্ড সোমবার হোমস প্রদেশে 'অপরাধী সরকারের সদস্যদের জন্য নিষ্পত্তি কেন্দ্র' খোলার ঘোষণা দেয়।

বিদ্রোহীদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'আসাদ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সব সদস্যদের আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং অস্থায়ী পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।'

এর আগে সোমবার সরকারের নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেওয়া এইচটিএসের বিবৃতিতে বলা হয়, কেউ কর্মীদের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই সাধারণ ক্ষমা সেনা অফিসার এবং যারা স্বেচ্ছায় সরকারের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

নির্যাতনে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে: এইচটিএস

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, শিগগির নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত আসাদ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এইচটিএসের সামরিক কমান্ড সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, 'সিরিয়ার জনগণকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম সম্বলিত প্রথম তালিকাটি শিগগির প্রকাশ করা হবে।'

এইচটিএস নেতা আবু মুহাম্মদ আল-গোলানি  বলেন, 'সিরিয়ার জনগণকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত খুনি, অপরাধী নিরাপত্তা ও সেনা অফিসারদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা একেবারেই দ্বিধা করব না। আমরা এসব যুদ্ধাপরাধীদের খুঁজে বের করব। তারা যে দেশে পালিয়েছে, সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানাব, যাতে তারা বিচারের মুখোমুখি হয়।'

রোববার বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে বাশার আল–আসাদ পরিবারসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। এর মাধ্যমে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

Comments

The Daily Star  | English
corruption-extortion-illustration-biplob-chakroborty

‘Now it’s our turn’ mindset fuelling abuse of power: TIB

While reforms are publicly touted, an ongoing culture of dominance, illegal occupation, and extortion resulting from "power abuse" by certain political parties is undermining public aspirations to build a democratic "New Bangladesh", it says

38m ago