প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চাইল ঐক্যফ্রন্ট

অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এই জোট মনে করেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাকে নিয়োগদানকারী ক্ষমতাসীন দলের অতি বাধ্যগত কর্মচারীর মতো আচরণ করছেন। তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ঐক্যফ্রন্টের দাবি, বর্তমান সিইসির কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তারা নতুন সিইসি নিয়োগের দাবি জানান। ছবি: সংগৃহীত

অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এই জোট মনে করেছে, সিইসি তার নিয়োগদানকারী ক্ষমতাসীন দলের অতি বাধ্যগত কর্মচারীর মতো আচরণ করছেন। তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে তারা দাবি জানাচ্ছেন।

প্রশাসন, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপারে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। এক পর্যায়ে বৈঠক মাঝপথে রেখেই তারা নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তারা নিজেরা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিয়ে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিরোধী প্রার্থী ও নেতা-কর্মী এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করছে। এসব ব্যাপারে তারা আজ সিইসি’র কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। এসব কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার জন্য তারা দাবি জানান।

ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ, তাদের সব অভিযোগ অগ্রাহ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ক্ষমতাসীন দলের নেতার ভাষায় অসৌজন্যমূলক বক্তব্যে তারা ক্ষুব্ধ-বিস্মিত এবং হতাশ হয়েছেন। এ কারণে তারা মনে করছেন, এই সিইসির কাছ থেকে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নির্বাচন পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

ঐক্যফ্রন্টের ভাষায়, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এমন একজন মেরুদণ্ডহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তির নেতৃত্ব থেকে নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করা অনিবার্য মনে করি। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি এবং যথার্থই একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

10h ago