চাঁদপুরে গণধর্ষণ: ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ (১১ মে) স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Chandpur Arrested
১১ মে ২০১৯, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: স্টার/আলম পলাশ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ (১১ মে) স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আমাদের স্থানীয় সংবাদদাতা জানান, আট মাস আগে গণধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবরটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল মামলাটি করা হয়।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, রাজধানী ঢাকা থেকে ইসমাইল ওরফে ইমরান (২১) ও আরেফিন ওরফে আমিনুলকে (২০) এবং ইউপি সদস্য ওয়াহেদুল ইসলামকে চাঁদপুরের দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আরও জানান, গতরাতে ভুক্তভোগী কিশোরী ও ওয়াহেদুলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ওই কিশোরী।

মামলায় অপর আসামিরা হলেন- রাব্বি (১৯), মেরাজ (২২) এবং সালিশদার মো. মোস্তফা কামাল। এরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণী অনুসারে, আট মাস আগে রাব্বি, মেরাজ, ইসমাইল ও আরেফিন মিলে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ওয়াহেদুল ও মোস্তফা কামালকে নির্দেশ দেন।

তবে, ধর্ষকদের মধ্য থেকে পছন্দ মতো একজনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন এবং ওই কিশোরীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত চারজনের প্রত্যেকের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ দেড় লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকা আদায় করেন সালিশদাররা। কিন্তু, সেই টাকা আর ধর্ষিত কিশোরীকে দেওয়া হয়নি।

এদিকে, এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago