তিন নম্বর পজিশন পেতে অনেককে রাজি করিয়েছিলেন সাকিব

ক্যারিয়ার জুড়ে বেশিরভাগ ম্যাচেই পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করেছেন সাকিব আল হাসান। কখনোবা চারে। গত কয়েকটি সিরিজ থেকে নিজের ইচ্ছাতেই তিন নম্বরে নামছেন তিনি। তিনে নেমে পাচ্ছেন চোখ ধাঁধানো সাফল্য। এই প্রথম তিন নম্বরে সেঞ্চুরিও পেয়ে গেলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দল বিধ্বস্ত হলেও সাকিবের ব্যাটিং বাংলাদেশ দলকে দিয়েছে খানিকটা স্বস্তি। ম্যাচ শেষে তিনি জানালেন, এই পজিশন বেছে নিতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাকে।

২০১ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৮ ইনিংসে তিনে ব্যাট করেছেন সাকিব। তাতে ৫১. ৯৩ গড়ে ৮৩১ রান তার। অনেকগুলো ফিফটির পর এই পজিশনে প্রথম পেলেন সেঞ্চুরি।

শনিবার (৮ জুন) কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৭ রান তাড়ায় অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো বাংলাদেশকে। ব্যাটিংয়ে একাধিক নৈপুণ্যেরও দরকার হতো। বিরূপ পরিস্থিতিতে কেবল সাকিব ১১৯ বলে ১২১ রানের মতো বড় ইনিংস খেলেছেন। আবারও তিনে নেমে দেখিয়েছেন এই জায়গায় নিজের কার্যকারিতা।

অথচ এই পজিশন তিনি নিজেই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু দলের সবাইকে এই জন্য রাজি করাতে হয়েছে তাকে, ‘সবাইকেই বোঝাতে হয়েছে। হ্যাঁ, সবাইকেই। কারণ যদি এক ম্যাচে রান না পাই তাহলে তারা ভাববে, তার তো পাঁচেই ব্যাট করা উচিত। অনেক লোককে বুঝিয়ে আমাকে তিনে ব্যাট করতে হয়েছে। এখন এটা বেশ কাজে দিচ্ছে।’

তিনে নেমে সাফল্য পাচ্ছেন। ব্যাটিংয়ে নিতে হচ্ছে নতুন চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে ২৬০ রান করে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এই পজিশন এবং টুর্নামেন্টে আরও বড় কিছু পেতে মুখিয়ে তিনি, ‘এটা ভিন্ন কিছু তো বটেই (তিনে নামা)। আপনাকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে এখানে। আমি অবশ্য উপভোগ করছি এই মুহূর্তে। কিন্তু বলে রাখা দরকার, এটা কেবলই শুরু। আমাকে দলের জন্য ব্যাটে-বলে আরও অবদান রাখতে হবে। এই টুর্নামেন্টে আরও ম্যাচ আছে। দেখা যাক।’