২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি: জাতিসংঘ
বিশ্বের বর্তমান ৭৭০ কোটি জনসংখ্যার সঙ্গে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আরও ২০০ কোটি যোগ হয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যা ৯৭০ কোটিতে উন্নীত হবে। আজ (১৭ জুন) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের জনসংখ্যা বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট ২০১৯: হাইলাইটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক জনমিতির বিস্তৃত নিদর্শন এবং সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় উপসংহার টেনে বলা হয় যে, চলতি শতকের শেষ দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে। যা হবে প্রায় ১১০০ কোটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি, প্রজননের হার হ্রাস ও জনসংখ্যা কমতে থাকা দেশের সংখ্যা বাড়তে থাকার কারণে বিশ্ব জনসংখ্যার গড় বয়স বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নতুন অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যার যে বৃদ্ধি হবে তার অর্ধেকের বেশি হবে নয় দেশে- ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে ২০২৭ সালে চীনকে ভারত ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের জনসংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ দ্বিগুণ হবে (৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে)।
বৈশ্বিক প্রজনন হার, যা ১৯৯০ সালে ছিল প্রতি নারীতে ৩.২, তা ২০১৯ সালে কমে ২.৫-এ দাঁড়িয়েছে। সেটি ২০৫০ সালে কমে ২.২ হবে।
জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়া রোধ এবং এক প্রজন্মকে আরেক প্রজন্ম দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে প্রতি নারীতে প্রজনন হার থাকতে হয় ২.১।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গরিব দেশগুলোর মানুষ বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় ৭ বছর কম বাঁচেন।
১৯৯০ সালের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৬৪.২ বছর থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৭২.৬ বছর হয়েছে। তা ২০৫০ সালে আরও বেড়ে ৭৭.১ বছর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১০ সাল থেকে ২৭ দেশ বা অঞ্চলে ১ শতাংশ বা তার বেশি জনসংখ্যা হ্রাস পেতে দেখা গেছে। ধারাবাহিকভাবে প্রজনন হার কমে যাওয়ার কারণে এ হ্রাসের সৃষ্টি হয়।
চীনে ২০১৯ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ৩ কোটি ১৪ লাখ বা প্রায় ২.২ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে বলা হচ্ছে।
১৯৫০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পরিচালিত ১ হাজার ৬৯০টি জাতীয় আদমশুমারির ফল ব্যবহার করে এ নতুন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এতে গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধন ব্যবস্থা ও ২ হাজার ৭০০ নমুনা জরিপের তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে।
Comments