ঢাকাকে হারিয়ে আসর শেষ করল রংপুর

রংপুর রেঞ্জার্সের জন্য ম্যাচটি ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। অন্যদিকে ঢাকা প্লাটুনের জন্য ছিল শীর্ষে ওঠার হাতছানি। জিতলেই সেরা দুইয়ে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত হতো। কিন্তু এমন ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরে যায় ঢাকা। আসরের শেষ ম্যাচে দারুন জ্বলে ওঠে রংপুরের বোলাররা। ফলে ঢাকাকে ১১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল দলটি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রংপুর রেঞ্জার্সের জন্য ম্যাচটি ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। অন্যদিকে ঢাকা প্লাটুনের জন্য ছিল শীর্ষে ওঠার হাতছানি। জিতলেই সেরা দুইয়ে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত হতো। কিন্তু এমন ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরে যায় ঢাকা। আসরের শেষ ম্যাচে দারুন জ্বলে ওঠে রংপুরের বোলাররা। ফলে ঢাকাকে ১১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল দলটি।

এদিন টস জিতেছিল ঢাকাই। প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বল হাতে তিনিই প্রথম রংপুর শিবিরে আঘাত হানেন। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শেন ওয়াটসনকে ফেরান তিনি। তার সঙ্গে দুই স্পিনার মেহেদী হাসান ও শাদাব খানও দারুন বোলিং করেন। ফলে দলীয় ৫০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।

এরপর লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আল-আমিন জুনিয়র। গড়েন ৪৯ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙেন থিসারা পেরেরা। এরপর জহুরুল ইসলাম অমিকে নিয়ে ৪১ রানের আরও একটি জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন আল-আমিন। অবশ্য ইনিংসের শেষ ওভারে দেখা যায় চরম নাটকীয়তা। শেষ চার বলে ৪টি উইকেট হারায় রংপুর। তবে শেষ দুটি রানআউট হওয়ায় কোন হ্যাটট্রিক হয়নি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন গ্রেগরি। ৩২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন আল-আমিন। জহুরুলের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে দলটি। ঢাকার পক্ষে ২৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন থিসারা। ২৫ রানের বিনিময়ে শাদাবের শিকার ২টি।

মাঝারি ধরণের লক্ষ্য ছুঁড়ে মূলত বোলারদের দারুন নৈপুণ্যে জয় মিলে রংপুরের। দলের সব বোলারই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৯ রানেই এনামুল হক বিজয়কে হারায় ঢাকা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মেহেদী হাসানকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। এরপর মেহেদী আউট হলে মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। হাল ধরতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যান। স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করতে ৭টি উইকেট হারিয়ে বড় বিপর্যয়ে পড়ে দলটি।

তবে শেষ দিকে ম্যাচ কিছুটা হলেও জমিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে তাতে লাভ হয়নি। কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন তামিম। ৩৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। মেহেদী হাসান করেন ২০ রান। রংপুরের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জুনায়েদ খান, তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। ১টি করে শিকার করেছেন লুইস গ্রেগরি ও মোস্তাফিজুর রহমান।

এ জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করল দলটি। আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করা ঢাকা এ হারের পরও রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচ সমান ১৪ পয়েন্ট রাজশাহীরও। তবে রান রেটে পিছিয়ে আছে দলটি। আগামীকাল নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের মোকাবেলা করবে ঢাকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রংপুর রেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (ওয়াটসন ১০, নাঈম ১৭, ডেলপোর্ট ৬, গ্রেগরি ৪৬, আল-আমিন ৩৫, জহুরুল ২৮, নাদিফ ৩*, তাসকিন ০, মোস্তাফিজ ০, সানি ০; মেহেদী ১/২৯, মাশরাফি ১/১৭, আশরাফ ০/৩২, শাদাব ২/২৫, হাসান ০/২২, থিসারা ৩/২৩)

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৩৮/৯ (তামিম ৩৪, বিজয় ৫, মেহেদী ২০, মুমিনুল ১৮, থিসারা ৮, শাদাব ১৬, আসিফ ১, আরিফুল ১, আশরাফ ৩, মাশরাফি ১২*, হাসান ০; মোস্তাফিজ ১/৩১, জুনায়েদ ২/২২, গ্রেগরি ১/২৫, তাসকিন ২/২৫, সানি ২/২৯)।

ফলাফল: রংপুর রেঞ্জার্স ১১ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লুইস গ্রেগরি (রংপুর রেঞ্জার্স)।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago