‘পরিশ্রম করলে, ভয় না পেলে বিজয় আসবেই’

পরিশ্রম করলে ও প্রতিপক্ষকে ভয় না পেলে বিজয় বা সফলতা আসবেই, বলছিলেন কাউন্সিলর মেহেরুন্নেসা হকের কর্মী-সমর্থকরা।

পরিশ্রম করলে ও প্রতিপক্ষকে ভয় না পেলে বিজয় বা সফলতা আসবেই, বলছিলেন কাউন্সিলর মেহেরুন্নেসা হকের কর্মী-সমর্থকরা।

নির্বাচনে বিজয়ের পর পল্লবী এলাকায় গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেলো।

রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২, ৩ ও ৫ ওয়ার্ডে বিএনপির সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন মেহেরুন্নেসা হক। তিনি প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে সাড়ে ১১ হাজার ভোটে হারিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের আগে তার নেতাকর্মীরা বলেছিলেন, সুষ্ঠুভাবে মাত্র দুই ঘণ্টা ভোট হলেই তাদের প্রার্থী আবারও বিজয়ী হবেন।

জানিয়েছিলেন, তাদের রয়েছে বিশাল কর্মী-বাহিনী। তারা মিটিং-মিছিল করার চেয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার এবং তাদের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া বিষয়ে অনুরোধ করতেন।

১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন সেই এলাকায় কেন্দ্র ঘুরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। কিন্তু, ছিলেন মেহেরুন্নেসার কর্মী-সমর্থকরা। নীরবে-নিভৃতে তারা কাজ করেছেন। কারো সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে জড়াননি। তারা ভোটারদের উৎসাহ দিয়েছেন ভোটকেন্দ্রে আসার। ভোট দেওয়ার।

মেহেরুন্নেসার নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনের দিন সেই এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে তাদের কথার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০০২ সাল থেকে মেহেরুন্নেসা তাদের এলাকার কাউন্সিলর। তার কাছে কেউ কোনো কাজ নিয়ে গেলে তাকে কখনই তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। সাধারণ মানুষের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিপক্ষের চেয়ে তিন হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন মেহেরুন্নেসা। সেবার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলো বিএনপি। তারপরও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

মেহেরুন্নেসা ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ২০০২ সাল থেকে স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে যেভাবে তিনি তার সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করেছিলেন, এবারও তাতে সফল হয়েছেন তিনি। এবার তিনি ৩৭,০০০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন:

‘২ ঘণ্টা সময় পেলেই চলবে’

Comments