অশ্রু-ভালোবাসায় ত্বকীকে স্মরণ, হত্যার বিচার দাবি

নারায়ণগঞ্জের তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন পরিবার, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ত্বকীর কবরে ফুল দিয়ে তাকে স্মরণ করছেন তার বাবাসহ অন্যরা। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জের তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন পরিবার, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ত্বকী হত্যার পর কেটে গেছে সাত বছর। কিন্তু এখনো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।

আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সিরাজ শাহর আস্তানা কবরস্থানে অশ্রু ও ভালোবাসায় ত্বকীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।

ত্বকীর বাবা সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা ছাড়াও ত্বকীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন— নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের পক্ষে সদস্য সচিব কবি হালিম আজাদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকালে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে অপহরণ করা হয়। দুই দিন পর, ৮ মার্চ সকালে শীতলক্ষ্যা নদীর খালের পাড় থেকে পুলিশ ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে।

ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের আট জনই পলাতক। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত এ দুই জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু, হত্যাকাণ্ডের সাত বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।

সে সময় (২০১৩ সাল) ত্বকী শহরের চাষাঢ়ায় এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিলেন। নিখোঁজের একদিন পর ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলে পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পান, যা সারাদেশে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া, ‘ও’ লেভেল পরীক্ষাতেও পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:

ত্বকী হত্যা মামলা: র‌্যাবের প্রতিবেদন জমার ‘যে কোনো দিন’ শেষ হয় না

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago