পেশাজীবীদের রাজনৈতিক বিভক্তি ও শিক্ষক সমাজ

‘শিক্ষক হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি নতুন প্রজন্মের কাছে যুগ যুগান্তরে সঞ্চিত যাবতীয় মূল্যবান সাফল্য হস্তান্তরিত করেন কিন্তু কুসংস্কার, দোষ ও অজ্ঞতাকে ওদের হাতে তুলে দেন না’। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের এমন ভাবতেন।
primary teachers
দাবি আদায়ে রাজপথে শিক্ষকদের অনশন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

‘শিক্ষক হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি নতুন প্রজন্মের কাছে যুগ যুগান্তরে সঞ্চিত যাবতীয় মূল্যবান সাফল্য হস্তান্তরিত করেন কিন্তু কুসংস্কার, দোষ ও অজ্ঞতাকে ওদের হাতে তুলে দেন না’। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের এমন ভাবতেন।

শিক্ষকদের কাছে সারাবিশ্বের মানুষের মতো আমাদেরও চাহিদা— তারা নতুন প্রজন্মকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলবেন। আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতিতে ‘দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সাধনের জন্য শিক্ষাকে সৃজনশীল, প্রয়োগমুখী ও উৎপাদন সহায়ক করে তোলা, শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তোলা ও তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সহায়তা প্রদান করা’-কে শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

আমাদের শিক্ষকসমাজ জাতির এ প্রত্যাশা পূরণে প্রচেষ্টারত। শিক্ষক সমাজের প্রচেষ্টাকে নিয়ে সমাজে নানামত রয়েছে। যদিও আমাদের সমাজে দীর্ঘদিনের একটা সংস্কৃতি এক এক সময়ে এক এক পেশাজীবীদের চরিত্র হনন করা। ধারাবাহিকভাবে চলমান এই প্রক্রিয়ায় এখন শিক্ষক সমাজের প্রতি রাগ-অনুরাগ প্রকাশের প্রতিযোগিতা চলছে।

দেশে একসময় প্রকৌশলীদের বলা হতো ‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’। উন্নয়নের সিংহভাগ অর্থ এই পেশাজীবীদের মাধ্যমে খরচ হয়ে থাকে। সেই উন্নয়ন কার্যক্রমের জীবনকাল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বহু প্রশ্ন থাকায় প্রকৌশলীরা এভাবে সমালোচিত হতো। অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হলেও সমালোচনার জোর এখন কমে গিয়েছে। এক এক সময় এমন সমালোচনার জোয়ারে ভেসে চলে দেশের চিকিৎসকসমাজ। দেশের সাধারণ মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসা বাণিজ্যের কাছে পরাজিত হলেও উচ্চমহলের বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত থাকায় পরিবেশের কোনো উন্নতি নেই। বরং চিকিৎসা বাণিজ্য প্রবল থেকে প্রবলতর হলেও সমালোচনার জোর কমে গিয়েছে।

পেশাজীবী হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ অনুযায়ী বিভক্ত।

এমনভাবে সময়ে সময়ে পেশাজীবীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলেও সময়ের ব্যবধানে তা স্তিমিত হয়ে পড়ে এবং নতুন আর এক পেশাজীবীদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। বর্তমানে দেশে শিক্ষকসমাজ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। দেশের প্রায় সর্বত্র সর্বমহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষকসমাজ।

আমাদের পেশাজীবীরা ‘ধোয়া তুলসী পাতা’ এমন দাবি করা যাবে না। দেশের সাধারণ মানুষ পেশাজীবীদের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট এমনটাও নয়। তারপরও একের পর এক পেশাজীবীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কতটা যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। এখানে পেশাজীবীদেরও একটা ভূমিকা আছে। কিন্তু, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পরিবেশ দেখে মনে করা কষ্টদায়ক যে আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে কারো ভ্রুক্ষেপ আছে। পরিবেশ উন্নয়নে না পেশাজীবীরা আন্তরিক না কর্তৃপক্ষ আগ্রহী। ফলে গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে চলা অন্য পেশাজীবীদের মতো আমাদের শিক্ষকসমাজও ভেসে চলেছে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, টেন্ডার বাণিজ্য, সন্ত্রাস লালন ইত্যাদির সঙ্গে পেশা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য রমরমা।

আমাদের শিক্ষকসমাজের সব থেকে সম্মানের স্থান বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ভূমিকা শিক্ষকসমাজকে আরও অনেক বেশি প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। সৌম্য চেহারার জ্ঞান তাপসদের চেহারা তারা নিজেরাই ঝাপসা করে চলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই ভর্তি ও ডাকসুর নেতা নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪২ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও ছাত্রলীগ নেতাদের নগদ অর্থ প্রদানের অভিযোগ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে আবরার হত্যার আগে ও পরের কার্যক্রম এবং বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম ভেঙ্গে ১৯ জন শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও পদোন্নতির দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের করা ১৪টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ।

এভাবে সারাবছরের তালিকা করা হলে তা ক্রমান্বয়ে লম্বাই হবে। তবে চলমান কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সংগ্রামে একজন বাদে কেউ দণ্ডিত হয়েছেন এমন লক্ষণ দেখা যায় না (সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে) বরং গোষ্ঠী বা ব্যক্তি সম্মানের চাইতে পদ ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় সবাই নিবেদিত থেকেছেন। সাধারণ মানুষ মনে করেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান এসব কার্যক্রমই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশে প্রণোদনা যুগিয়েছে।

দেশের শিক্ষকসমাজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে আন্তরিক নয়। সরকার শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিদিনই নতুন নতুন নীতি কৌশল ঘোষণা করে চলেছেন। নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে, মিডডে মিলের ব্যবস্থা করছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ানো শুরু করেছে, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছে, শিক্ষার্থীদের পোশাক সরবরাহে উদ্যোগী হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন করে পরিবেশের উন্নতি করছে, শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাশের ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষকদেরও অবস্থান ও বেতন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, শূন্যপথ পূরণের প্রচেষ্টা করছে, বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা করেছে, কোচিং নীতিমালা করেছে, কোচিং সেন্টার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে, জাতিকে শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। উপহারের পর উপহার হিসেবে জাতি পাচ্ছে বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ করা হয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে অনেক কিছুই হচ্ছে, হচ্ছে না শুধু শিক্ষার মান উন্নয়ন।

সরকার গৃহীত নীতি কৌশলের সঙ্গে শিক্ষকসমাজের সংশ্লিষ্টতার চাইতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংশ্লিষ্টতা অনেক বেশি। প্রতি ক্ষেত্রে উপর মহল থেকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। প্রকৃত সংশ্লিষ্টদের মতামতকে উপেক্ষা করার কারণে জনকল্যাণের নীতি কৌশল বাস্তবায়নে আন্তরিকতার অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। পেশার মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশন যথাযথ হয় না। একজন জীবনব্যাপী এনালগ শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে থেকে উঠে আসা শিক্ষককে ৭/১০ দিনের প্রশিক্ষণে ডিজিটাল করা সম্ভব নয়। প্রাথমিক থেকে সৃজনশীল চালু না করে নবম শ্রেণি থেকে তা চালু করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পরিবেশের সঙ্গে সহ-অবস্থান করতে শেখানোও সম্ভব নয়। শিক্ষাব্যবস্থার সব সাধু উদ্যোগ আজ নোট-গাইড-কোচিংয়ের মধ্যে একাকার হয়ে গেছে। দেশের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের অবজ্ঞা না করে তাদের সঙ্গে নিয়ে সৃজনশীল পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে আজ বলতে হতো না দেশের অর্ধেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী সৃজনশীল বুঝে না।

দেশের পেশাজীবীদের উপর দায় চাপানো খুব সহজ কাজ। একজনের উপর দায় চাপালে নিজেকে দায়মুক্ত রাখা যায়। কিন্তু, দায় চাপানোর আগে দেশের, সমাজের, ব্যক্তির আর্থ-সামাজিক পরিবেশ নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। দেশের অবস্থা কী, সমাজ কোন পথে চলেছে এবং ব্যক্তি ভাবনা বিবেচনার দাবি রাখে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, দলীয়করণ, মোসাহেবি ইত্যাদির কাছে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা সর্বক্ষেত্রে পরাজিত। এই পরিস্থিতি থেকে উঠে এসেছে ব্যক্তিজীবনের অর্জন বিসর্জন দিয়ে পদ-পদবি প্রাপ্তির আগ্রহ। পেশাজীবীদের আরও উৎসাহিত করেছে রাজনৈতিক মতাদর্শিক বিভক্তি। যা পেশার উন্নয়নকে চরমভাবে বিপথগামী করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো আপেক্ষিক লাভে পেশাজীবীদের স্বাধীনতা দিয়ে ঘিয়ে আগুন ঢেলে দিয়েছে। এখন দেশের সব পেশাজীবীরা যে যার সুবিধা মতো রাজনৈতিক দর্শনে বিভক্ত হয়ে রাজার প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা পেশার উন্নয়নের চাইতে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর উন্নয়নে নিবেদিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ পরিস্থিতি তারই প্রমাণ বহন করছে।

দেশের রাজনীতিবিদ, আমলা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, পুলিশ, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী ইত্যাদি সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল লক্ষ্য শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে যার যার দায়িত্বের প্রতি সচেতন থাকতে পারছেন না। রাজনীতিতে দেখা যায় রোদপোড়া শরীর আর জীর্ণবেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই শরীর চকচকে হয়ে যাচ্ছে। প্রতি নির্বাচনে দেওয়া হলফনামার পরিবর্তন তাই প্রমাণ করে।

ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ভেজাল মিশিয়ে ঋণ খেলাপি হয়ে শরীর চকচকে করছে। প্রকৌশলীরা ঠিকাদারের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করে শরীর চকচক করছে। চিকিৎসকরা হাসপাতাল ফাঁকি দিয়ে ওষুধ কোম্পানি আর বেসরকারি ক্লিনিকের কমিশন নিয়ে শরীর চকচক করছে। শিক্ষকরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোচিং বাণিজ্য করে ও প্রাইভেট পড়িয়ে শরীর চকচকে করছে। আমলা, পুলিশ ইত্যাদির সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হয়রানি আর প্রতারণার শিকার হওয়ায় এদের শরীরও চকচকে হচ্ছে। পেশাজীবীদের মধ্যে উচ্ছিষ্টভোজী হয়ে শরীর চকচকে করার একটা প্রতিযোগিতা জোর কদমে চলেছে। সেখানে যে কোন একটা পেশার প্রতি অন্যদের সমালোচনা কতটা যুক্তিযুক্ত তা বিবেচনার দাবি রাখে।

সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে পেশাজীবীদের চরিত্র হনন করে লাভ হবে না। পেশাজীবীদের রাজনৈতিক বিভক্তি বন্ধ করা জরুরি। আমাদের দেশে যে হানাহানি-কাড়াকাড়ির রাজনীতি চলমান তাতে একজন শিক্ষক অন্য মতাদর্শের শিক্ষার্থীর প্রতি নিরপেক্ষ থেকে শিক্ষা দেবে তা ভাবতেও কষ্ট হয়। সব পেশাজীবীদের সংশ্লিষ্টতায় সমস্যা সমাধানের নীতি কৌশল গ্রহণ করা হোক। দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রশাসন সাজানো হোক। পুরস্কারের প্রশিক্ষণ নয়, দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ প্রকৃতজনদের জন্য নিশ্চিত করা হোক। যার যার দায়িত্বের প্রতি তাদের সচেতন করা হোক। সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবার বোধোদয় হোক। এতেই সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। সফল হবে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন।

এম আর খায়রুল উমাম, সাবেক সভাপতি, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

Yunus's 'Reset Button' call was not about erasing Bangladesh's proud history: CA office

He meant resetting the software, not the hardware created by 1971 Liberation War, statement says

2h ago