সাজেকে হামের প্রদুর্ভাব, দুই সপ্তাহে ৪ শিশুর মৃত্যু
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহে হামে আক্রান্ত অন্তত চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে মারা গেছে এক শিশু। সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার তিনটি গ্রামে এখনো অর্ধশতাধিক শিশু হামে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি সাজেক ইউনিয়নের অরুনপাড়ায় শিশুদের জ্বর হতে শুরু করে। পরে তাদের সারা শরীরে ছোট ছোট ফুসকুড়ি উঠে, সেই সঙ্গে কাশি। অরুনপাড়ায় কমপক্ষে ৩০ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সুজন ত্রিপুরার মেয়ে সাগরিকা ত্রিপুরার (১১) মৃত্যু হয়। প্রথমে রোগটি অজানা মনে করা হয়েছিল। পরে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, এটি হাম। সে সময় চিকিৎসক দল সাজেকে গিয়েছিল। এ মাসে আবার হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বলেন, সাজেক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রাম অরুনপাড়া, লুংথিয়ানপাড়া ও হাচ্চেপাড়ায় গত কয়েকদিনে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এতে মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে। এ পর্যন্ত পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় ঠিক মতো খবর নেওয়া যাচ্ছে না।
বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার আহসান হাবিব বলেন, গ্রামগুলো অনেক দূরে। দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে হয় বলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে। আজ শুক্রবার আরেকটি চিকিৎসক দল ওই গ্রামগুলোতে যাচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে আক্রান্ত শিশুদের হেলিকপ্টারে করে খাগড়াছড়ি শহরে নিয়ে আসা হবে।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, হাম থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। আমরা একটি মেডিকেল টিম সেখানে পাঠিয়েছি। আজ বিজিবি’র সহযোগিতায় হেলিকপ্টারে আরেকটি মেডিকেল টিম যাবে।
Comments