জ্বর-শ্বাসকষ্টে ৪ জেলায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসের মতো উপসর্গ নিয়ে পাবনা, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাজীপুরে শিশুসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার পাবনার বেড়া উপজেলায় নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু। সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটি মারা যায়।
বেড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিলন মাহামুদ জানিয়েছেন, শিশুটির নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ও ডায়রিয়া ছিল।
তিনি বলেন, শিশুটি নিউমোনিয়ায় মারা গেছে এ কারণে করোনা পরীক্ষার জন্য শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
এদিকে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নে সর্দ-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সকালে এক শিশু মারা গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক জানান, শিশুটির পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুই জন মারা গেছেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মোশরাত ফারখান্দা জেরিন জানান, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বলিঘর গ্রামের বাসিন্দা রায়হান মিয়া (২০) শ্বাসকষ্ট নিয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। তার স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর আগে বিকেল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আল মামুন জানান, দুপুর দেড়টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী গ্রামের মধ্যপাড়ায় নিজ বাড়িতে মারা যান এক ব্যক্তি। ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।
পরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে।
এদিকে, শ্বাসকষ্টে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাজী মোহাম্মদ আলী (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রবীর কুমার সরকার।
তিনি বলেন, নিহত হাজী মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন যাবত শ্বাসকষ্টজনিত (হাঁপানি) রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী গিয়ে নিহত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করেছে। নিহতের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, টঙ্গীর পশ্চিম থানার আউচপাড়া মোল্লাবাড়ি এলাকায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছে কিশোর সাকিব (১৬)। আজ বুধবার ভোর রাতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিব মারা যায়।
সাকিবের বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, গত কয়েকদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্টে ভুগছিল সাকিব। ৬ এপ্রিল তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপির) টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আপাতত সাকিবের বাড়ির সামনের রাস্তাটি আটকে লোক চলাচল সীমিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
Comments